সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মনোনয়ন (Nomination) শেষ হতেই উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) একের পর এক বিরোধী প্রার্থীকে 'হুমকি'। হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি প্রার্থীকে (BJP Candidate Threatened) বাড়িতে গিয়ে হুমকির অভিযোগ। অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপি প্রার্থী অর্চনা সিংহ মুন্ডার। বারাসাতেও আইএসএফ প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকির অভিযোগ। বদনাম করতেই মিথ্যে অভিযোগ, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। 


অভিযোগ...
বিজেপি প্রার্থী আদিবাসী মহিলাকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ২৪ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অর্চনা সিং মুন্ডা অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃণমূল হিংসার রাজনীতি করে না। সাফাই তৃণমূলের হাবড়া ২ নম্বর ব্লক গ্রামীণের সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষের। তা ছাড়া, বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের কেমিয়া খামারপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আইএসএফ প্রার্থী রাবিয়া বিবিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শম্ভু ঘোষ। 


রক্তাক্ত কোচবিহার...
গত কাল রাতেই আবার বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে (Relative Of BJP Candidate) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের দিনহাটায় (Dinhata)। মৃতের নাম শম্ভু দাস। মৃতের বৌদি বিশাখা দাস দিনহাটার কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী । পরিবারের অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কয়েক জন এসে তাঁর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ওই যুবককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। সাহেবগঞ্জ থানায় পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি, রাজনৈতিক কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৯ দিনে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটল। দিনহাটার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যদিও দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন উদয়ন, অভিযোগ বিজেপির। বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বজুড়ে রক্তস্নাত হয়েছে বাংলা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ কিছু দিন বাকি থাকলেও হিংসা-মারামারির রেশ অবশ্য অব্যাহত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকার দখল নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচায় তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ হয়। এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে আহত উভয়পক্ষের ২ কর্মী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। আবার মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। ভোটের আগে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা ঠেকাতে যেদিন সর্বোচ্চ আদালতে গেল কমিশন, সেই দিনই রাজ্যে এই রাজনৈতিক খুনের ঘটনা। প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। খুনের ঘটনায় জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। 


আরও পড়ুন:চেক লেখার সময় এই কাজটি করলে মুহূর্তে ফাঁকা হতে পারে অ্যাকাউন্ট!