কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলার মসনদ দখলের লড়াইটা এবার মূলত ত্রিমুখী। একদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান চ্যালেঞ্জার হিসাবে লড়াইয়ে নামছে বিজেপি। লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত সংযুক্ত মোর্চাও। যে জোটে রয়েছে বামফ্রন্ট ও তাদের সহযোগী দলগুলি, কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকি প্রতিষ্ঠিত নতুন দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা ISF। প্রত্যেক আসনেই হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।


প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কে? কাকে মানুষ দেখতে চাইছেন রাজ্যের সর্বোচ্চ মসনদে?


এ ব্যাপারে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সিএনএক্স। ৯৩৬০ জন ভোটারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছিলেন সমীক্ষকরা। দ্বিতীয় দফায় সিএনএক্স-এবিপি আনন্দের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এখনও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানুষের পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখতে চান। এই দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন রাজ্যের ২৪ শতাংশ মানুষ। বাকিরা অবশ্য লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান পাঁচ শতাংশ মানুষ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে এবার তাঁর সামনে হাইভোল্টেজ লড়াই। শুভেন্দুর প্রতিপক্ষ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাজ্যের ৮ শতাংশ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শুভেন্দুকে চান। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ৪ শতাংশ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান।


আর অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে? এক সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা চলেছিল। এবং বলা হচ্ছিল, সৌরভ বিজেপিতে যোগ দিলে তিনিই হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সেরা মুখ। তবে রাজনীতির আঙিনায় এখনও পা রাখেননি সৌরভ। বরং রবিবার নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেডে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। যদিও এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল মিঠুনের বিজেপিতে যোগদানের আগে। তবে রাজ্যের ১৬ শতাংশ মানুষ চান মমতা-দিলীপ-অধীর-শুভেন্দু-সুজন নন, মুখ্যমন্ত্রী হোন অন্য কেউ।


শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে কে বসবেন, তা চূড়ান্ত হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।