কলকাতা: পঞ্চম দফা ভোটের আগে ফের কড়া নির্বাচন কমিশন। সরানো হল উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি বি সেলিমকে।

 

বিরোধীদের অভিযোগ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট করাতে যা যা করা উচিত, উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের তাতে গাফিলতি, খামতি রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতের অভিযোগও তোলে বিরোধীরা। এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে, পঞ্চম দফা ভোটের মুখে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কমিশনের।

 

উত্তর ২৪ পরগনার নতুন পুলিশ সুপার হলেন আনাপ্পা ই। তিনি ছিলেন শিলিগুড়ির সুপারিটেনডেন্ট অফ রেলওয়ে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নতুন জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ। তিনি ছিলেন শিক্ষা দফতরের কমিশনার।

 

আগেও বদলির সময় যেভাবে অপসারিত অফিসারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এক্ষেত্রেও সেই একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অপসারিত জেলাশাসকের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ভাল ছিলেন।

 

এর আগে, একজন জেলাশাসক ও পাঁচজন পুলিশ সুপারকে সরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একাধিক আইসি-ওসিকেও সরিয়েছে তারা। এবার উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক অপসারিত। তাৎ‍পর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই দুই জেলাই তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত। কিন্তু, ভোটের একেবারে মুখে এসে পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের সরিয়ে দিলেই কি ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো যাবে?

 

অনেকের মনেই এই প্রশ্ন উঠছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য শোনার পর। তিনি বলেছিলেন, যাকে সরাবে সেও আমার অফিসার, যাকে আনবে সেও আমার...মাইন্ড সেট চেঞ্জ করা যাবে না।

 

রাজনৈতিক পক্ষপাতের উপর উঠে প্রশাসন সার্বিকভাবে কি মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করার সাহস দেখাবে? উত্তর কয়েকদিনের মধ্যেই মিলবে।