আদালতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ...
অরক্ষিত বুথে সন্ত্রাসের শিকার ভোটকর্মীরা। ভোট হিংসার (Poll Violence) প্রতিবাদে কাল আদালতে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোমবার শহরে প্রতিবাদ মিছিল করা হবে, ঘোষণা মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের।লাগাতার হানাহানি। মুহুর্মুহু পড়ল বোমা। চলল গুলি। জখম বহু। ব্যালট লুঠ, বুথ জ্যামের অভিযোগ। প্রায় সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। রক্তস্নাত ২০২৩-এর (Panchayat Election 2023) পঞ্চায়েত ভোট। উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। সন্ত্রাসের মাত্রা এই পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে যে খোদ ভোটকর্মীদের নিরাপত্তায় প্রশ্নের মুখে। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) চিহ্ন মাত্র নেই। কোথাও আবার বুথের মধ্যেই তাণ্ডব চলল দুষ্কৃতীদের। এই ভয়ে পেয়ে যান ভোটকর্মীরা। 


কড়া বার্তা রাজ্যপালের...
পঞ্চায়েত ভোটে রাস্তায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। তিনি বলেন,' শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আশা করেছিলাম। কিন্তু চতুর্দিকে খুন হচ্ছে। মানুষ জানিয়েছে গুন্ডারা ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছে। প্রিসাডিং অফিসারও কোনও কোনও সময় সহায়তা করছেন না। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। ভোট ব্যালটে হওয়া উচিত, বুলেটে নয়। সকলকে বলব গণতন্ত্রের নিয়ম মেনেই ভোট দিন।'


তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর... 
ভোটের দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ভোটের দিনও পরপর খুন। ভোট শুরু হতেই বুথ দখলের চেষ্টা। দিকে দিকে অশান্তির ছবি। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার ট্যুইট 'বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে 'রাক্ষসতন্ত্রে'র উদযাপন চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়াটে খুনি রাজীব সিন্হা তাঁর পরিকল্পনা কার্যকর করছেন। এটাই তাঁদের গণতান্ত্রিক মডেল।'    


ব্য়ালট বাক্স তুলে দৌড়...


ভোটের শুরু থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা। তারই মধ্যে রয়েছে মাথাভাঙাও। ভোট চলাকালীন ব্যালট বাক্স তুলে দৌড় মারলেন এক যুবক। দুহাতে বাক্স আঁকড়ে ধরে দে দৌড় এক ব্যক্তির। সেখানেই এক জায়গায় দেখা যায় মাঠে পড়ে রয়েছে ব্যালট বাক্স। 


'কালীঘাট চলো', আহ্বান শুভেন্দুর...


তিনি বলেন, বাংলাজুড়ে ভোট-সন্ত্রাস চলছে। এই পরিস্থিতিতে 'কালীঘাট চলো', ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'গুলি করুক, চলো কালীঘাট, ইটগুলো খুলে নিয়ে আসি'। শুভেন্দুর দাবি, ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ জারি করা হোক ! 'বাংলাকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যা করতে হয় করব', হুঙ্কার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি আরও বলেন, ' এখানে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হলে ৩৫৬ অথবা নির্বাচনের সময় ৩৫৫ করে যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে ইমপার্শিয়াল বা নিউট্রাল না করেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট হতে পারে না।


 


আরও পড়ুন:লাশের সারি বাংলায় ! ৬০ নয় মাত্র ১৫ হাজার বুথে হাজির ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানালেন রাজীব সিনহা