অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: আদালতের নির্দেশ মানছে না রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। এই অভিযোগে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পাশাপাশি, তারা জানিয়েছে, ডিসি অফিস থেকে পুলিশ ট্য়াগিং-এর সময় প্রতিটি বুথে অন্তত ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ান মোতায়েন সুনিশ্চিত না করলে, শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত লাগাতার কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে।


আদালতের রায় অবমাননা করছে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশ, পঞ্চায়েত ভোটে, কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ফোর্থ পোলিং বা তার ওপরে নিয়োগ করা যাবে না। অথচ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এনিয়ে একটি তথ্য় প্রকাশ করেছে তারা। মঞ্চের তরফে দেওয়া তথ্য়ে দেখা যাচ্ছে একজন প্য়ারা টিচারকে ফোর্থ পোলিং অফিসার করা হয়েছে।             


রবিবারই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করা হবে। এদিন তারা আরও স্পষ্ট করে জানায়, ডিসি অফিস থেকে পুলিশ ট্য়াগিং-এর সময় প্রতিটি বুথে অন্তত ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সুনিশ্চিত না করলে, শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত লাগাতার কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, '১ দিনে ভোট করতে ২৫০০ কোম্পানি দরকার। কমিশন চাইলে একাধিক দফায় করাতে পারে। কিন্তু করাচ্ছে না। ভাল করে ভোট করানোর সদিচ্ছা নেই।' 


অন্য়দিকে, অনিয়মিত বেতনের অভিযোগে ও বকেয়া DA-এর দাবিতে, বুধ ও বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জনস্বাস্থ্য় কারিগরি দফতরের জল জীবন মিশনের কর্মীরা। ফলে, পানীয় জল সরবরাহ প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'এটা আমরা জানি, মানুষের সমস্য়া। কিন্তু যারা বেতন পাচ্ছেন না, তারাও মানুষ। প্রশাসন কর্ণপাত করছে না। খাবারের পয়সা নেই। তাদের বাচ্চারা খেতে পারছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত।' বুধবার ১৫৩ দিনে পড়েছে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। 


আরও পড়ুন: জীবনজুড়ে জঙ্গল, কলমজুড়ে প্রেম! টপ্পায় বুঁদ করতেন 'ঋজুদা' বুদ্ধদেব