কলকাতা: ভোটে বহিরাগতদের জমায়েত রুখতে, ক্লাবগুলির উপর নজরদারি চালাতে হবে। নজর রাখতে হবে জেলবন্দি দুষ্কৃতীদের উপরও। বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্য রুখতে নিতে হবে কড়া পদক্ষেপ। মুখ্যসচিব, ডিজি-সহ রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

 

তারা চাইলে যে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য রুখে দিতে পারে, পঞ্চম দফার ভোটে তা আংশিক হলেও, প্রমাণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার শেষ দু’দফা ভোটের আগে নিরাপত্তা বলয়কে নিশ্ছিদ্র করতে, মুখ্যসচিব, ডিজি-সহ রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের জন্য নজিরবিহীন নির্দেশ জারি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

 

ভোটের সময় বিভিন্ন ক্লাবে বহিরাগতদের জমায়েত হয় এবং সেই বহিরাগতরাই এলাকার ভোটারদের ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে কমিশন ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাই বহিরাগত দৌরাত্ম্য রুখতে কমিশনের কড়া নির্দেশ, বহিরাগতদের জমায়েতের সম্ভাবনা রয়েছে, এমন ক্লাবগুলির ওপর দিনরাত নজরদারি চালাতে হবে।

 

প্রথম থেকে চতুর্থ দফার ভোটে বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে দুষ্কৃতীরা। ভোটারদের মারধর থেকে দেদার ছাপ্পা ভোট, অভিযোগ ভুরিভুরি। শেষ দুই দফার ভোটে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে কমিশনের নির্দেশ, চিহ্নিত হওয়া দুষ্কৃতীদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। যাতে তারা ভোটের আগে বা ভোটের দিন গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, কমিশনের নজরে জেলবন্দি দুষ্কৃতীরাও।

কমিশনের নির্দেশ, জেলবন্দি দুষ্কৃতীদেরও নজরে রাখতে হবে। তারা যেন কোনওভাবেই জেলের বাইরে থাকা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কমিশনের আরও নির্দেশ, এলাকায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের প্রবেশ রুখতে, রাতে জলপথে সার্চ লাইট ব্যবহার করে তল্লাশি চালাতে হবে।

 

বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্য রুখতেও বদ্ধ পরিকর কমিশন। যাতে কোনও ভাবেই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি না হয় সেকথা মাথায় রেখে কমিশনের নির্দেশ, বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্য রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। কমিশনের আরও নির্দেশ, এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রাতে টহলদারি চালাতে হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি চালাবে বিএসএফ।

 

শেষ দু’দফার ভোটের কমিশনের এই সব নির্দেশ, আদৌ কার্যকর হয় কি না, এখন সেটাই দেখার।