কলকাতা: নির্বাচন চলাকালীনই  OC ও IC-র অপসারণ। আনন্দপুর এবং ডায়মন্ড হারবার থানার দুই পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আনন্দপুরে বিজেপি নেত্রীকে কোপানোর ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। অন্য দিকে, ডায়মন্ড হারবারের সরিষায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি দোকান পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। (Election Commission)


ডায়মন্ড হারবারের ঘটনায় গ্রেফতার হন বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক। মিথ্যা অভিযোগে দলীয় নেতা, কর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। ডায়মন্ড হারবার থানার IC শুভাশিস ঘোষের বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের কাজে রাখা যাবে না আনন্দপুর থানার OC সুমন দে ও ডায়মন্ড হারবার থানার IC শুভাশিস ঘোষকে। (Lok Sabha Elections 2024)


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, "এমন পুলিশ আধিকারিক আছেন যাঁরা খোলাখুলি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছেন। এঁদেরকে আরও কয়েক বছর চাকরি করতে হবে। দিদির আঁচলের তলায় বসে থাকা চলবে না, রোদে বেরোতেই হবে। তারপর খোলা মাঠে আসতে হবে, তখন হিসেব বুঝে নেব।" এদিন পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরই শোনা গেল দিলীপের গলায়। 


আরও পড়ুন: Weather Update: আজই বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে, কখন থেকে কোন কোন জেলা ভিজবে ? কী খবর তাপপ্রবাহের ?


এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, "আমরা বার বার বলছি, কমিশন একেবারে ঠিক করেছে। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করণীয়, তাকে স্বাগত জানাই।- পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের একাংশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। যেমন নির্দেশ আসবে, বিরোধীদের দুরমুশ করা হবে, তেমন ভোট  করা হবে। ডায়মন্ড হারবারে কী ভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তা নজির হয়ে রয়েছে। এমন অনেক থানা আছে। পুলিশের একটি বড় অংশের তৃণমূলের জামাটা গায়ে চাপানো আর পতাকাটা ধরা বাকি আছে।"


আনন্দপুরের ঘটনায় এর আগে পুলিশের বিরুদ্ধে লঘু ধারা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তার জেরেই অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যান বলে দাবি করে বিজেপি।  OC-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনকে। এর পরই ওই দুই অফিসারকে সরাল কমিশন। তাঁদের কোনও ভাবে ভোটের কাজে লাগানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


অন্য দিকে, বাংলার নিরাপত্তা নিয়েও বিশেষ নজর দিচ্ছে কমিশন। ৭ মে তৃতীয় দফার তুলনায়, ১৩ মে চতুর্থ দফায় বাড়ছে বাহিনী, কমছে ক্যুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা। পঞ্চম দফায় রাজ্যে মোতায়েন থাকবে ৭৫০ কোম্পানি বাহিনী। চতুর্থ দফায় বর্ধমান পূর্বে মোতায়েন থাকবে ১৫২ কোম্পানি বাহিনী, দু'নম্বরে থাকছে বীরভূম, মোতায়েন থাকবে ১৩০ কোম্পানি বাহিনী, কৃষ্ণনগর ও মুর্শিদাবাদে মোতায়েন থাকবে ৮১ ও ৭৩ কোম্পানি বাহিনী যথাক্রমে।