কলকাতা: 'হাতি কাদায় পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে', নরেন্দ্র মোদির কাছে নীতীশ (Modi With Nitish Kumar)-চন্দ্রবাবুদের (Modi With Naidu) দাবিদাওয়া নিয়ে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh On Alliance Negotiation)। 'সুযোগ পেয়ে বেশি দাবি করছেন শরিকরা। আঞ্চলিক দল সবসময় নিজের কথাই ভাবে', সংযোজন তাঁর। তবে একথাও মনে করালেন, '২০০৪-এ বাজপেয়ীর সঙ্গে যাঁরা দর কষাকষি করেছিলেন, তাঁরা সাফ হয়ে গেছিলেন। সেই তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ছিলেন', মোদির জোটসঙ্গীদের দর কষাকষি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের। 


দিলীপ যা বললেন...
'হাতি কাদায় পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে। আর হাতি তো কাদায় পড়েছে', বলেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। এবারের এক্সিট পোলে গেরুয়া ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হলেও বাস্তবে ভোটের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়, বিজেপি একা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ২৪০ আসনে জয়ী হয়েছে। সব মিলিয়ে এনডিএ জোটের পারফরম্যান্সও আহামরি নয়। বরং, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে এবার 'পারফরম্যান্স' খারাপই হয়েছে তাদের। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা এনডিএ জোটের হাতে থাকলেও শরিকদলের উপর ভরসা করতে হচ্ছে বিজেপিকে। সেই কথা মাথায় রেখেই কি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ মনে করেন, 'হাতি কাদায় পড়েছে'? তবে একই সঙ্গে তিনি এও মনে করান, নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের মতো নেতারা এখনও রয়েছেন। আর যাঁরা দাবিদাওয়া করছেন, তাঁরাও বিজেপির পুরনো সঙ্গী। 'সরকার চালিয়ে লোকজনকে সুশাসন দিতে হবে। কারণ মানুষ বিজেপি এবং এনডিএ-র পক্ষে রায় দিয়েছেন। সেটা যেন কেউ ভুলে না যান', মত দিলীপের।


বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা...
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে এবার বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপির পোড়খাওয়া এবং প্রবীণ নেতা দিলীপ ঘোষকে। তৃণমূলের থেকে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। প্রচারের সময় দু-তরফের মধ্যে তরজাও শোনা যায়। তবে ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, কীর্তির কাছে হেরে গিয়েছেন দিলীপ। আর তার পর দলের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হন তিনি। বলেন, 'মেদিনীপুর থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।' গ্রামেগঞ্জে দলের সংগঠন যে শুয়ে পড়েছিল, সেটা যে তিনিই চাঙ্গা করেন, সে কথাও মনে করান মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ। 


 


আরও পড়ুন:এখনই সরকার গঠন নয়, বিরোধী হিসেবেই ফ্যাসিস্ত BJP-র মোকাবিলা, সিদ্ধান্ত I.N.D.I.A-র