কলকাতা : বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এ লড়াই মর্যাদার লড়াই। কারণ, নবান্নের ক্ষমতা দখলে গত কয়েক মাস ধরে কার্যত মাটি কামড়ে পশ্চিমবঙ্গে পড়ে থেকেছেন মোদি-শাহরা। কিন্তু, গণনার এখনও পর্যন্ত ট্রেন্ডে বিজেপির পক্ষে সেঅর্থে হাওয়া দেখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত ২০৬ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে ৮৩টি আসনে। যদিও এটাকে শুরুর ট্রেন্ড বলছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। প্রাথমিকভাবে বিকেল হতে হতে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাপ্রকাশ করলেও, পরে তাঁর সেই আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা যায়। বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহার মতো নেতাদের পিছিয়ে পড়ায় তিনি হতাশ। এনিয়ে সমীক্ষা করা হবে বলে জানান।


অন্যদিকে শিবসেনার মুখপাত্র ও সাংসদ সঞ্জয় রাউত আশাপ্রকাশ করেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলই সরকার বানাবে। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমোর লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার যে সাহস, সেটা মানতেই হবে। উনি দুটি আসনে লড়েননি। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নন্দীগ্রামে একটি আসনেই লড়েছেন।


একের পর এক জনসভা, মিছিলে কার্যত ঝড় তুলে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানির মতো বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা। এবং কমবেশি প্রায় সভাতেই রাজ্যে ২০০-র বেশি আসনে জয়লাভের আশা প্রকাশ করে গিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, মমতা-অভিষেককে বারেবারে কাঠগড়ায় তুলেছেন।


অপরপক্ষে কার্যত একার ঘাড়ে দলকে উজ্জীবিত করে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সভা করেছেন একের পর এক। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক মাসের প্রচারে জমি ছাড়ার কোনও লক্ষণই দেখাননি তিনি। উপরন্তু, বিজেপি যত আক্রমণ শানিয়েছেন, মমতা তত তাঁর সুর সপ্তগ্রামে তুলেছেন।