কলকাতা: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাবুল। গণনার দিন সকাল সকাল পৌঁছে গেলেন টালিগঞ্জের গণনা কেন্দ্রে। জানালেন "একেবারেই টেনশন হচ্ছে না, টেনশন হবে বিরোধী প্রার্থী তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাসের।" এদিন এবিপি আনন্দকে তিনি বলেন, "প্রত্যেককটা ছেলে ভোর থেকে এখানে কাজ করছে, আমি দেখতে এসেছি ওরা ঠিক মতো কাগজ পেল কিনা। টিফিনের ব্যবস্থা হল কিনা। ২০১৪ থেকেই আমি এটা করে এসেছি। আজও সবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।"


অন্যদিকে ফলাফল নিয়ে প্রশ্নে বাবুলের স্পষ্ট উত্তর, "আমার কেন টেনশন হবে, ১৫ বছর ধরে ভোট লুঠ করেছেন, অরূপ বিশ্বাস আজ উনি টেনশন করবেন।"


এদিন অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, "১৫ বছর কোনও কাজ করেননি। হাত জোড় করে ভোট চাইতে বেরিয়ে পড়েছেন। টালিগঞ্জ জুড়ে বস্তি, জলের কষ্ট, একের পর এক সমস্যা, এতদিন কাজ হয়নি। এবার এই কাজগুলো আমি করব।"


উল্লেখ্য ৯.৪৫ এ পাওয়া খবর অনুযায়ী টালিগঞ্জে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস। পাশাপাশি চার নম্বর রাউন্ডের বাবুল সুপ্রিয়কে পেছনে ফেলে  শেষে সাড়ে ১২ হাজার ভোটে গিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। 


২০০৬ থেকে পরপর বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস। এবারও নির্বাচনে টালিগঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়ান তিনি। নিজের চেনা কেন্দ্র হলেও প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি তিনি। প্রতিদিন নিয়ম করে প্রচার সেরেছেন।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার হেভিওয়েট কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। যুদ্ধের ময়দানে দুই যুযুধান। এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূলের প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস। মুখোমুখি লড়াই-এ বিজেপির তরফে দাঁড়িয়েছিলেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে লড়েছেন সিপিআইএমের দেবদূত ঘোষ।


২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর ঝুলিতে ছিল ৯০ হাজার ৬০৩টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী মধুজা সেন রায়।