কলকাতা: বাংলার বিধান ফের তৃণমূলের পক্ষে। ডাবল সেঞ্চুরি করে সিংহাসনে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের এই বিপুল জয়ের পিছনে কী কী ফ্যাক্টর কাজ করেছে? এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে কাটাছেড়া। পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূল সাফল্যের পেছনে বিজেপি ফ্যাক্টরও কিচুটা কাজ করে থাকতে পারে।
গত লোকসভা ভোটে বিজেপি পেয়েছিল প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট। এবার তারা ভোট পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। অর্থাৎ‍ বিজেপির ভোট কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
এবারের ভোটের ফল দেখে বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, বিজেপির এই ভোটের সিংহভাগ গিয়েছে তৃণমূলের দিকে।
তৃণমূল লোকসভায় পেয়েছিল প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট। এবার তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।
অর্থাৎ, বিজেপির কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ ভোট। তৃণমূলের বেড়েছে ৫ শতাংশ ভোট। অনেকের এ-ও দাবি, বিজেপি বেশ কিছু আসনে বিরোধী ভোট কাটায় তৃণমূলের সুবিধা হয়েছে।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর দাবি, তৃণমূল-বিজেপির ১০-১২টি আসনে বোঝাপড়া হয়েছে।
মালদা-মুর্শিদাবাদ চিরদিনই কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত। এই দুই জেলা বাদ দিয়ে, এবারও সংখ্যালঘু ভোটাররা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢেলে ভোট দিয়েছে বলেই নির্বাচনের ফল দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন ভোট পরবর্তী সমীক্ষাতেও উঠে এসেছিল, গ্রামীণ বাংলা এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। ভোটের ফল থেকেও তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বাংলা জয়ে যেমন আগে গ্রাম বাংলা জয় করতে হয়, তেমনই শহরে ভাল ফল করতে হলে কলোনি ও ঝুপড়িবাসীদের সমর্থন পাওয়া জরুরি। যেটা এবারও মমতা পেয়েছেন বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
তৃণমূলের কাণ্ডারী কে তা সবাই জানে। কিন্তু, জোটের সেনাপতি কে? জোট জিতলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? এ সব প্রশ্নের উত্তর না থাকাটা কি জোটের বিরুদ্ধে গিয়েছে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
আরও আগেই কি জোট বেঁধে ঝাঁপানো উচিত ছিল সিপিএম-কংগ্রেসের? দেরি করেই কি কাল হল? সে কারণেই কি মমতা-ঝড়ের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল জোট? এই প্রশ্নও উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।