বুধবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল কুমার গুপ্তা সংশোধিত ভোটের হারের কথা জানিয়েছেন। গণনার ভুলে কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানে ১ শতাংশ পর্যন্ত তারতম্য স্বাভাবিক ঘটনা বলে জানিয়েছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেই সংখ্যাটাই তিন শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়াটাকে একেবারেই ভাল ভাবে দেখছেন না তাঁরা। আর এখানেই ফের উঠে এসেছে ভূতুড়ে ভোটারের তত্ত্ব। বিরোধীরা এরমধ্যে বেনিয়ম থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
প্রথম দফার নির্বাচনের দিন যে ভোটের হার প্রকাশ করা হয়েছে তা ছিল ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ৩.৫ শতাংশ কম। এই পরিসংখ্যান দেখে বিরোধী সহ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেছিলেন যে, ভূতুড়ে ভোটারের ভূত এবার হয়ত আর মাথা তুলতে পারেনি। কিন্তু সংশোধিত পরিসংখ্যানে বেনিয়মের আশঙ্কা জোরাল করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
নয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চারটি , বাঁকুড়ার দুটি এবং পুরুলিয়ার একটি আসনে ভোটের হার কমপক্ষে তিন শতাংশ বেড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া-এই দুই জেলায় মোট ভোটের হার বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি কেন্দ্রে বেড়ে যাওয়া ভোটের হার
আসন ভোটের দিন (৪ এপ্রিল) সংশোধিত হার
নয়াগ্রাম ৮০.৭২ ৮৪.৭৮
শালবনি ৮৬.৬১ ৯০.১৮
মেদিনীপুর ৭৮.৭৭ ৮৪.৪২
বিনপুর ৮১.২৫ ৮৪.৩৪
রাইপুর ৮২.২৭ ৮৬.৭৪
তালডাংরা ৮০.৭২ ৮৬.৭৭
জয়পুর ৭৮.৩৩ ৮১.৮৭