তাঁকে না কি তৃণমূলেরই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ সাতগাছিয়ায় আর চাইছিলেন না! কিন্তু, শীর্ষ নেতৃত্ব ফের সোনালি গুহকেই প্রার্থী করায় দলের মধ্যেই কিছুটা চাপা অসন্তোষ রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। এই প্রেক্ষাপটে শনিবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দিনভর চরকির মতো ছুটে বেড়ালেন সোনালি!
প্রথম গন্তব্য সাজুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়! ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেই, হুড়মুড়িয়ে বুথের ভিতর ঢুকে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী! কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বাধা দিতেই বেধে যায় বচসা! আঙুল উঁচিয়ে শাসকদলের নেত্রী জানতে চান, আপনি কি কমিশন? আমি এখানকার এমএলএ! জওয়ান বলেন, ইউ আর ওয়েলকাম।
এক জায়গায় হুমকি তো অন্য জায়গায় শাসানি! অভিযোগ, এখানে ইভিএম-এর একটু বেশিই কাছে চলে যান সোনালি গুহ! জওয়ান বাধা দিতেই রণংদেহী নেত্রী! বুথের ভিতর বাহিনীকে হুমকি তো, বুথের বাইরে সিপিএমের এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়ার নির্দেশ! কাশিবাতি অবৈতনিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে ইভিএম খারাপ হওয়ার কথা শুনেই মেজাজ হারান নেত্রী! তখনই ফোনে দিয়ে ফেলেন আজব এই নিদান!
ইভিএম ঠিক হওয়ার পরই বুথ চত্বর ছাড়েন তৃণমূল প্রার্থী! তবে, শুধু সিপিএমের এজেন্টই নন! এদিন তো পুকুর পাড়ে সিপিএমের পতাকা দেখেও চটে যান সোনালি গুহ! তৃণমূল প্রার্থীর এহেন হুমকি-শাসানির দেখে, তত্ক্ষণাৎ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর, এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয় শাসকদলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আলাদা করে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিরোধীরাও। তবে, দিনের শুরুতে সিপিএম এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, বিতর্ক বাড়তেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের চা খাওয়ানোর কথাও শোনা যায় তৃণমূল প্রার্থীর মুখে।
তবে এই চায়ে আবার চিনির জায়গায় গুড়-বাতাসা মেশানো নেই তো? কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন অনেকেরই!