শিমলা: ‘হিমাচলে (himachal pradesh) প্রতি ৫ বছরে সরকার (government) বদলেছে। তবে এবারই শুধু ১ শতাংশের কম ব্যবধানে বিজেপি (BJP) হেরেছে সেখানে। এত কম ব্যবধানে কখনও হার-জিতের ফয়সালা হয়নি’, দিল্লিতে দলের সদর দফতরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর (prime minister)। সঙ্গে সংযোজন, 'হিমাচলবাসীর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা একটুও কমবে না। আমাকে আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করতে হবে।'


আর কী বললেন?
সকালে যখন ভোটগণনা শুরু হচ্ছে, তখন অবশ্য মনে হয়েছিল উত্তর ভারতের এই রাজ্য বিজেপির ঝুলিতেই যাবে। কিন্তু দিনের শেষে ছবিটা বদলে যায়। তবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে পরাজয়ের থেকেও বেশি করে উঠে এসেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকটি। তিনি মনে করিয়েছেন, উত্তরের এই রাজ্যে প্রতি পাঁচ বছরে সরকার বদলের যে ধারা রয়েছে তাতে দেখা গিয়েছিল কখন ৫ শতাংশ, কখনও ৬ শতাংশ, কখনও আবার ৭ শতাংশের ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু এবার প্রথম এত অল্প ব্যবধানে ফলাফল স্পষ্ট হল। তাঁর কথায়, 'এর অর্থ একটাই। জনতাও বিজেপিকে জয়ী করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।'


গুজরাত প্রসঙ্গে...
২০২৪-এ দেশের লোকসভা নির্বাচন। তাঁর প্রাক্কালে কার্যত সেমিফাইনালের মঞ্চে নিজের গড়ে কংগ্রেসকে হেলায় হারালেন মোদি-শাহ। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বললেন, 'গুজরাতের ভোটে সবথেকে বেশি আনন্দ পেয়েছি যুব সম্প্রদায়ের বিজেপিতে আস্থা রাখায়। প্রায় ১ কোটি ভোটার এমন ছিলেন, যাঁরা কংগ্রেসের কুশাসন দেখেন-ই নি। কিন্তু তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন কংগ্রেসকে। বলা ভাল, উন্নয়ন, প্রগতির রাজনীতিই যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই ভাবনাতেই আস্থা রেখেছেন। নব প্রজন্ম সবসময় প্রশ্ন করে, তাঁদের প্রশ্নের ও চিন্তার  দিশা যে বিজেপি-ই দিতে পারে, সেই আস্থা তাঁরা রেখেছেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশ সঙ্কটে থাকলে ভরসার নাম বিজেপি।' ১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় ১৫৭ টি আসনও জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৬ আসন। আম আদমি পার্টি পেয়েছে ৪ টি ও অন্যান্য নির্দলরা পেয়েছে ৪ টি আসন। প্রসঙ্গত, পদ্ম ব্রিগেড গুজরাতে জিততে চলেছে ৮০ শতাংশের বেশি আসনে। গুজরাতের ইতিহাসে সবচেয়ে শোচনীয় ফল কংগ্রেসের। গুজরাতে এখনও পর্যন্ত বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির হার ৫৩ শতাংশ। কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার ২৮ শতাংশ। আপের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত, বিগত ২৭ বছর ধরে গুজরাত বিজেপি-র দখলে। আরও একবার সেখানে ক্ষমতায় ফিরল তারা। ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের ১৪৯ আসনজয়ের লক্ষ্যমাত্রাও এ বার ছাড়িয়ে গেল বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর এ যাবৎ বিজেপি-র সর্বাধিক আসন সংখ্যা ছিল ১২৭।     


আরও পড়ুন:ব্রাজিলের ম্যাচ দিয়ে শুরু, কোয়ার্টার ফাইনালে কবে, কোন দল, কাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে?