আমদাবাদ: গুজরাতে পুরসভার পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক দল বিজেপির দাপট। দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস, তৃতীয় আণ আদমি পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উন্নয়ন, কংগ্রেস ডুবন্ত নৌকা। কংগ্রেসকে কটাক্ষ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির।


গুজরাতে পুরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একইরকম ফল হল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ৮১টি পুরসভা, ৩১টি জেলা পঞ্চায়েত এবং ২৩১টি তালুকা পঞ্চায়েত মিলিয়ে মোট ৮,৪৭৪টি আসনের গণনা শেষ হয়েছে। ৯৮০টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৩৩টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। মাত্র ১৫৭টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। আম আদমি পার্টি জয় পেয়েছে মাত্র দু’টি আসনে। বহুজন সমাজ পার্টি মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যান্যরা চারটি আসনে জয় পেয়েছে। ২৩৭টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। তালুকা পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে কেউই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।


৪,৭৭৪টি তহসিল পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩,০১৮টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস জয় পেয়েছে ১,১২১টি আসনে। আম আদমি পার্টি জয় পেয়েছে ২৮টি আসনে। বহুজন সমাজ পার্টি জয় পেয়েছে মাত্র চারটি আসনে। অন্যান্যরা জয় পেয়েছে ১৬টি আসনে।


পঞ্চায়েত ভোটের পাশাপাশি পুরসভাতেও দারুণ ফল পেয়েছে বিজেপি। ২,৭২০টি আসনের মধ্যে ১,৯৪৮টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস জয় পেয়েছে ৩৫১টি আসনে। আম আদমি পার্টি জয় পেয়েছে মাত্র ৯টি আসনে। বহুজন সমাজ পার্টি সেখানে মাত্র ৬টি আসনে জয় পেয়েছে। নির্দল প্রার্থীরা  জয় পেয়েছেন ১৬০টি আসনে। অন্যান্যরা জয় পেয়েছে ২৪টি আসনে।


গুজরাতে ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘গুজরাতে নগর পালিকা, তালুকা পঞ্চায়েত ও জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিজেপি-র সুশাসন ও উন্নয়নের সঙ্গে আছে গুজরাত।’


অন্যদিকে, এই শোচনীয় ফলের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমিত চাভদা ও বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানি। একইসঙ্গে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পদত্যাগী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর দাবি, ‘আমরা যা আশা করেছিলাম, ভোটের ফল তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা প্রচারের সময় মানুষের কাছ থেকে ভাল সাড়া পেয়েছিলাম। কিন্তু ফলে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি।’