নয়াদিল্লি:  ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এমনটাই জানালেন রাহুল গাঁধী। 


পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে এক সাক্ষাত্‍কারে এই কথা স্বীকার করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। সেখানে রাহুল স্বীকার করে নেন যে, তাঁর ঠাকুমা অর্থাৎ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীও তেমনটাই মানতেন। 


তিনি বলেন, আমার মনে হয় ওটা ভুল ছিল। একেবারেই ভুল ছিল। ঠাকুমা বলেছিলেন যে, তাঁরও মনে হয়েছিল, ওই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। 


যদিও জরুরি অবস্থার সঙ্গে মোদি জমানার তুলনা টেনে বর্তমান প্রশাসককে আক্রমণ করেন রাহুল।  দাবি করেন, সেই সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের একটা পার্থক্য রয়েছে। 


আরও পড়ুন


Rahul Gandhi প্রভাকরণের মৃত্যু তাঁকে ব্যথিত করেছিল, জানালেন রাহুল


তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও কংগ্রেস দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির দখল নেওয়ার চেষ্টা করেনি। কিন্তু, এখন সেটাই হচ্ছে। তিনি যোগ করেন, সত্যি বলতে কী, কংগ্রেসের সেই ক্ষমতা নেই। কারণ, কংগ্রেসের পরিকাঠামো এর অনুমতি দেয়না।


১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল -- দেশে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ইন্দিরা গাঁধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। জরুরি অবস্থা জারির জন্য এখনও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় কংগ্রেসকে। 


 



 


গত বছর, কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ৪৫ বছর আগে আজকের দিনে একটি পরিবারের ক্ষমতার প্রতি লালসার ফলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। এক রাতেই গোটা দেশ জেলে পরিণত হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম, থেকে শুরু করে বিচারব্যবস্থা ও মুক্ত বচন-- সবকিছুই ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 


দেশে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতার কোনও অবকাশ আছে কি না জানতে চাওয়া হলে, রাহুল বলেন, অবশ্যই আশা আছে। তবে, তা নিছক আলোচনায় বোঝানো সম্ভব নয়।


গাঁধী বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠানগুলি দেশে গণতন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে, সেগুলিকে সুকৌশলে আঘাত করা হচ্ছে। রাহুলের অভিযোগ, এখন দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনা করে আরএসএস তাদের লোকদের ঢুকিয়ে দিচ্ছে।