কলকাতা : ২০২৪ লোকসভা ভোটে ( Loksabha Election 2024 ) ফিকে হয়েছে মোদি হাওয়া। ৪০০ পারের ডাক দিয়েও তীরে তরী ভেড়েনি। এনডিএ ম্যাজিক ফিগার ২৭২ পেরিয়েছে ঠিকই। তবে গতবারের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির এবার প্রাপ্ত আসন ২৪০। যা ম্যাজিক ফিগারের থেকে অনেক দূরে। এখন সরকার গড়তে এখন বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে শরিকদের উপর। গত ৫ বছরে এই শরিকদের উপর ভরসা রাখতে হয়নি মোদি সরকারকে। ২০২৪ এ আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল শরিক প্রসঙ্গ। আর সেই দিক থেকে দেখতে গেলে আগামী সরকার গঠনে দুটি রাজনৈতিক দল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। TDP ও JDU । NDA সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেরিয়ে গেলেও জাতীয় রাজনীতিতে নজরে এই দুই 'N' ফ্যাক্টর।
দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার আজ শেষ বৈঠক। সূত্রের খবর দিল্লিতে তৃতীয় দফায় সরকার গড়তে এবার দুই শরিক নেতা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন মোদি। আজ এনডিএ-র বৈঠকে নীতীশ-চন্দ্রবাবু ছাড়াও রাজধানীতে পৌঁছেছেন একনাথ শিণ্ডে ও জিতনরাম মাঝি। বুধবার বৈঠকে বসছে এনডিএ। আর এদিনই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। এনডিটিভি সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব একই ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে যাবেন। দুজনে যাবেন আলাদা মিটিংয়ে যোগ দিতে।
এখন অতীতে বারবার শিবির বদল করার রেকর্ড রয়েছে নীতীশ কুমারের। মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় এনডিএর শরিক ছিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। তারপর ২০১৮ সালে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি । এ বারে ভোটের আগে ফের চন্দ্রবাবুর সঙ্গে হাত মেলায় বিজেপি। এবার এই দুই জোট শরিককে টানার চেষ্টা করতে পারে ইন্ডিয়া-জোট, খবর তেমনটাই।
বুধের সন্ধেয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ২৭ জন বিরোধী নেতার বৈঠক রয়েছে। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল সকাল দিল্লি উড়ে গিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী MK স্ট্যালিনও। লোকসভা ভোটে তাঁর দল DMK পেয়েছে ২৭টি আসন।
সূত্রের খবর, ৯ জুন তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন মোদি। তবে তার আগে যদি জোট সমীকরণ ওলটপালট হয়ে যায়, তাহলে খেলা ঘুরে যেতে পারে।