নয়া দিল্লি : অতীত থেকে শিক্ষা। জয়ের ইঙ্গিত পেতেই দল ভাঙানো রুখতে বাড়তি সতর্কতা কংগ্রেস শিবিরে। জয়ী বিধায়কদের
তামিলনাড়ুতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে দল। শুধু তা-ই নয়, শাসকদল ডিএমকের সঙ্গেও এজন্য যোগাযোগ রাখা হচ্ছে কংগ্রেসের তরফে। এমনকী এদিন সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে খবর।
২০১৮-য় কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও, সরকার গড়তে পারেনি। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে জেডিএস। মুখ্যমন্ত্রী হন এইচ ডি কুমারস্বামী। কিছুদিনের মধ্যেই পট পরিবর্তন হয়। কংগ্রেস ও জেডিএস-এর ১৭ জন বিধায়ক একসঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন স্পিকার। কংগ্রেস-জেডিএস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় সরকার গড়ে বিজেপি। বিধায়কদের এই বিদ্রোহের নেপথ্যে বিজেপির হাত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়ে উপ নির্বাচনের লড়াইয়ে নামেন। উপনির্বাচনে ১৫টির মধ্যে ১২টি আসনেই জয়ী হয় বিজেপি।
জয়ের গন্ধ পেতেই, কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার একটি ভিডিও ট্যুইট করা হয়েছে। তাতে, কর্ণাটকের এই ফলাফলের জন্য দলীয় নেতাকে কৃতিত্ব দিয়ে লেখা হয়েছে, 'আমি অদম্য, আমি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। হ্যাঁ, আজ আমাকে থামানোও যাবে না।'
শুধু দলের তরফেই নয়, একাধিক নেতাও, রাহুল গান্ধীর যাত্রার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, এটা মানুষকে উৎসাহ জুগিয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক ফলাফল সামনে আসতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। তবে, কংগ্রেস যদি শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসে, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কাকে করা হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গেছে। কর্ণাটকের স্বার্থে তাঁর বাবাকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত বলে ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার পুত্র যতীন্দ্র সিদ্ধারামাইয়া। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র বলেন, "আমরা বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যে কোনও কিছু করতে পারি। কর্ণাটকের স্বার্থে আমার বাবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।" অন্যতম দাবিদার হিসাবে রয়েছেন ডিকে শিবকুমারও।
আরও পড়ুন ; অশীতিপর বৃদ্ধার চোখের জল মোছানো থেকে মায়ের জুতোর ফিতে বাঁধা, কর্নাটকে জয়ের খুঁটি পোঁতেন রাহুলই!