কলকাতা: এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিংহর বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিজি-র কাছেই দাবি করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh On NIA SP)। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কুণাল লেখেন, 'আপনার এসপি ধনরাম সিংহ বিজেপির সঙ্গে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি এনআইএ-র বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছেন। ভোট ঘোষণার পর তিনি বাড়িতে বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিনা তদন্ত করুন...'


কুণালের পোস্ট...
তৃণমূল নেতার আরও সংযোজন, 'তদন্ত চলাকালীন অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হোক অভিযুক্তকে। বাংলার সব মামলা থেকে তাঁকে অবিলম্বে সরানো হোক। প্রয়োজনে আমরা তদন্তে তথ্য, সিসিটিভির ফুটেজ দিয়ে সহযোগিতা করব। তৃণমূলকে বিব্রত করতে এসপি বিজেপির ক্যাডার হিসেবে কাজ করছেন। বিজেপির সুবিধা করে দিতে কাজ করছেন এসপি। তৃণমূল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে, আশা করি আপনিও তদন্তের নির্দেশ দেবেন।' পোস্টে এনআইএ-র ডিজিকে ট্যাগ করেন কুণাল। 
গত কাল, রবিবার, এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তাতে তীব্র আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। কুণাল দাবি করেন, 'গত ২৬ মার্চ এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিংহর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কাকে কাকে গ্রেফতার করতে হবে, তালিকা তুলে দেয় বিজেপি। এনআইএ এসপি-র বাড়িতে যান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সন্ধে সাড়ে ৬টায় এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিংহর বাড়িতে যান জিতেন্দ্র। 
ভোট ঘোষণার পর আচরণ বিধি চলাকালীন এনআইএ-র এসপি-র বাড়িতে যান বিজেপি নেতা।' একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, অবিলম্বে ধনরাম সিংহকে বাংলা থেকে বহিষ্কার করুক কমিশন। যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি পাল্টা দাবি করেন, এরকম বৈঠকের কোনও ভিডিও প্রকাশ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণ না করতে পারলে ক্ষমা চাইতে হবে অভিযোগকারীকে, না হলে মামলার হুমকি দেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে এনআইএ-কে নিয়ে এমন তোলপাড়ে দিনভর তপ্ত থাকে রাজ্য রাজনীতি। 

তৃণমূলনেত্রীর সংযোজন...
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গত কাল, রবিবার, পুরুলিয়ার সভা থেকে এনআই-র বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বস্তুত, সার্বিক ভাবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহারের অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধুপগুড়ির সভায় সুর চড়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে ঘটনা থেকে এনআইএ-কে নিয়ে এত আলোচনা, তর্ক তার শুরু ভূপতিনগরে। ভূপতিনগর বিস্ফোরণ-মামলায় তল্লাশি চালাতে হালেই 'আক্রান্ত' হয় এনআইএ। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানাকে আটক করার সময় তাঁর বাড়ির কাছে NIA-র আধিকারিকরা আক্রান্ত হন। তার পর থেকে ফের তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। কেউ কেউ আবার এতে সন্দেশখালির ছায়াও দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন। তবে তৃণমূল যে অভিযোগ করেছে, তা যে গুরুতর সে কথাও মানছেন বহু মানুষই। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে আলোড়ন।


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী বললেন, ৪ জুনের পর সবাইকে জেলে ভরবেন, একথা কি তাঁর মুখে শোভা পায় ? প্রশ্ন মমতার