রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রবিবাসরীয় ভোটপ্রচারে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এদিন যেমন জনসংযোগ করেন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবরাজ বর্মন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন বাম প্রার্থী। খোঁজখবর নেন তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার।  


কী কী করলেন?    
এদিন ধুপগুড়ি বিধানসভার ৭ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সকালে গিয়ে প্রচার সারেন দেবরাজ। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন ধুপগুড়ির এই দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। কৃষিপ্রধান এলাকায় বহুমুখী হিমঘরের দাবি নতুন নয়। নদী-ভাঙনের সমস্যাও দীর্ঘদিনের। নির্বাচিত পৌরবোর্ড না থাকায় পৌর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত, অভিযোগ স্থানীয়দের অনেকেই। ধুপগুড়ির মানুষ বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মন বলেন, 'ধুপগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটে সরকারি নিয়ন্ত্রণে ক্রয়-বিক্রয় চালু করা, এলাকায় বহুমুখী হিমঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া, নদী ভাঙ্গনের সমস্যা দূর করতে ব্যবস্থা নেওয়া-সহ ধুপগুড়ি এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সংসদে তুলে ধরতে মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আমরা আশাবাদী।' এ যদি উত্তরের জেলায় বাম প্রার্থীর ছবি হয়, তা হলে দক্ষিণের জেলাতেও পিছিয়ে নেই বিজেপি প্রার্থীরা।


লকেটের প্রচার...
'যাঁরা বলেন, রাতে টিভিতে দেখবেন সকালে সামনে দেখবেন, তাঁরা কেউ থাকবেন না। আর মাঝে মধ্যে বলবে টুকি টুকি। আর তাঁরা বলবেন, এই তো আমায় দেখতে পাচ্ছেন। তাঁরা শুধু টুকি টুকি করবেন! এইসবের মধ্যে পা দেবেন না। যাঁরা মানুষের সেবায় নিযুক্ত রয়েছেন, তাঁরাই সারাজীবন আপনাদের পাশে থাকবে', আজ সিঙ্গুরে জনগণের উদ্দেশে এই বার্তা দেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। গত কাল, শনিবার, সিঙ্গুরের বেড়াবেড়িতে তৃণমূলপ্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায় জনতার উদ্দেশে যে বার্তা দিয়েছিলেন, তার পর সিঙ্গুরে আজ লকেটের এই বক্তব্য।  রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই আজ হাসতে হাসতে জনগণের উদ্দেশ্যে এ কথা জানান লকেট। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন এখনও প্রায় ২মাস বাকি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে বিজেপি-তৃণমুলের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর বাক্য বিনিময় বঙ্গ রাজনীতিতে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হচ্ছে। এক দিকে পাঁচ বছরের বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে তৃণমূলের নতুন মুখ অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। দুই প্রার্থীই এখনও বন্ধুত্ব বজায় রেখেই সৌজন্যমূলক বার্তা দিচ্ছেন একে অন্যকে। কিন্তু নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে এই বাক্য বিনিময়ের ঝাঁঝ।


 


আরও পড়ুন:খাস জমি রয়েছে, শিক্ষক ও বিধায়ক হিসেবে পান বেতন, ঋণ, সম্পত্তির খতিয়ান দিলেন BJP-র মনোজ