মথুরা: ৫ বছরে ৩৫ কোটি টাকা আয়। ৬৬ কোটি থেকে ‘ড্রিম গার্ল’ এখন ১০১ কোটির মালকিন। মথুরা থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনকে নিজের ৫ বছরের (২০১৪-২০১৮) আয়ের নথি জমা করেছেন হেমা। সেখানেই দেখা যাচ্ছে সাংসদ হয়ে আয় বেড়েছে ধর্মেন্দ্র-পত্নীর।


২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনকে নিজের আয়ের যে হিসেব হেমা জমা করেছিলেন, তাতে ৬৬ কোটি টাকার সম্পত্তির হিসেব দিয়েছিলেন তিনি। আর ২০১৯ সালে যে নথি তিনি জমা করলেন, তাতে তাঁর আয় ১০০ কোটির উপরে। আয়কর দফতরের নথি অনুযায়ী ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্তও তিনি ১৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আয়কর জমা দিয়েছেন। আর ২০১৭-১৮ সালের নথি বলছে, তিনি ওই বছর ১ কোটি টাকার উপরে আয়কর জমা করেছেন। মঙ্গলবার যে নথি হেমা জমা করেছেন, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিগত পাঁচ বছরে গড়ে ৯.৮৭ কোটি টাকা রোজগার করেছেন হেমা। একই সঙ্গে এই সময়েই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ধর্মেন্দ্রর আয়ও। তাঁরও বছরে ৯.৭৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে।


নির্বাচন কমিশনকে মথুরার সাংসদ যে নথি জমা করেছেন, তাতে বলা হয়েছে তাঁর একটি মার্সিডিজ গাড়ি রয়েছে। যেটা ২০১১ সালে ৩৩.৬২ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন তিনি। এছাড়াও টয়োটারও একটি গাড়ি রয়েছে তাঁর। ২০০৫ সালে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে সেটি কিনেছিলেন হেমা।


উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রথমবার লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হেমা মালিনী। মথুরা কেন্দ্র থেকে জিতে লোকসভায় যান তিনি। এবারও ওই আসন থেকে ‘ড্রিম গার্ল’-কেই প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির। অতীতে ২ বার (২০০৩-০৯ ও ২০১১-২০১২) রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন এই অভিনেত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ মন্ত্রক, পরিবহন, পর্যটন, সংস্কৃতি, নারীর ক্ষমতায়ন সহ তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের একাধিক কমিটির সদস্যও রয়েছেন হেমা মালিনী।