বদায়ুঁ (উত্তরপ্রদেশ): যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্যকে অস্ত্র করে আলি বনাম বজরংবলি বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন মায়াবতী। আজ বদায়ুঁর জনসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে নিশানা করেন তিনি। মায়াবতী সম্প্রতি দেওবন্দে সপা-বসপা-আরএলডি জোটের নির্বাচনী সভায় মুসলিমদের কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে বিজেপি-বিরোধী ভোটে ভাঙন না ধরানোর আবেদন করেছিলেন। আদিত্যনাথ পাল্টা বলেন, আলি বসপা-সপা-আরএলডির সঙ্গে থাকলে বজরংবলি আছে বিজেপির সঙ্গে। শনিবার মায়াবতী কটাক্ষ করেন, এই প্রসঙ্গে ওনাকে বলতে চাই, আলি আর বজরংবলি, দুই-ই আমাদের। তাই আমরা দুজনকেই চাই।
আলি ইসলামে শ্রদ্ধার আর হনুমানকে বজরংবলি বলে উল্লেখ করা হয়। ইতিমধ্যে এই বিতর্কে আদিত্যনাথ ও মায়াবতী, দুজনকেই নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হনুমান জঙ্গলবাসী, দলিত বলে আদিত্যনাথ গত বছর মন্তব্য করেছিলেন। আজ সেই মন্তব্য ইঙ্গিত করে বসপা নেত্রী বলেন, আমরা বিশেষ করে বজরংবলিকে সঙ্গে চাই কারণ তিনি আমার নিজের দলিত সম্প্রদায়ের। আমি যোগীজীর কাছে গভীর কৃতজ্ঞ থাকব কেননা উনি আমাদের পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাই এটা খুব আনন্দের ব্যাপার যে, আলি আর বজরংবলি, দুটোই আমাদের আছে। ওরা একসঙ্গে হলে নির্বাচনে দারুণ ফল হবে আমাদের। উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনে যোগীর দল, বিজেপি আলির ভোট পাবে না, বজরংবলির ভোটও নয়, যিনি আমার নিজের জাতের।
সভায় সপা সভাপতি অখিলেশ সিংহ যাদবও ছিলেন।
মায়াবতী আরও বলেন, এই নির্বাচনে নমোপন্থীরা ক্ষমতা হারাতে চলেছে, জয় ভীম সমর্থকরা আসছে, যা দেশের প্রয়োজন এখন। দলিতরা কংগ্রেসকে আগেই ছেড়েছেন, এখন বিজেপিকেও ত্যাগ করছেন বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন কেন্দ্রে ও অনেক রাজ্যে কংগ্রেস সরকার ছিল। ভুল নীতি, কাজকর্মের জন্যই কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। একইভাবে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিও ভ্রান্ত নীতি, কার্যকলাপের পাশাপাশি আরএসএস-ঘেঁষা, জাতপাতগন্ধী, সাম্প্রদায়িক, পুঁজিবাদী নীতি ও সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য ক্ষমতা থেকে হটে যাবে। এবারের ভোটে কোনও নাটকবাজি, বড় বড় কথা বলে লাভ হবে না বিজেপির। ‘চৌকিদারি’র নতুন নাটকও এবার ওদের বাঁচাতে পারবে না।