নয়াদিল্লি: একলা চলো রে। বিহারে এই সুরেই কণ্ঠ মেলাল বামেরা। মহাজোটের সবুজ সংকেত না মেলায় একক শক্তি হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট। আর শনিবার সেই বার্তা দিয়ে বিহারের বেগুসরাইয়ে নিজেদের প্রার্থীও ঘোষণা করল তারা। জল্পনায় সিলমোহর দিয়ে ওই কেন্দ্রে জেএনইউ-এর প্রাক্তন নেতা কানহাইয়া কুমারকেই প্রার্থী করল সিপিআই। অন্যদিকে বিহারের বেগুসরাইয়ে বিজেপি প্রার্থী করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে। এই আসনে আরজেডি থেকে জোট প্রার্থী হয়েছেন সংখ্যালঘু নেতা তনভির হাসান।


শনিবারই বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট। বিহারে ১৭টি আসনে লড়বে বড় শরিক বিজেপি। ১৭টি আসন ছাড়া হয়েছে জনতা দল (ইউনাইটেড)-কেও। বাকি ৬টি আসনে লড়বে লোক জনশক্তি পার্টি। শনিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলেও উল্লখযোগ্যভাবে ঘোষণা হয়নি শাহনওয়াজ হোসেনের নাম। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভাগলপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ। তবে এবার এই আসন জোট শরিককে ছেড়ে দেওয়ায় ‘ঘরহারা’ হয়ে পড়েছেন এই বিজেপি নেতা। মাঝে এমনও শোনা যাচ্ছিল, তাঁকে বেগুসরাই থেকে টিকিট দিতে পারে দল। তবে সেটা হল না। বেগুসরাই থেকে জোট প্রার্থী হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। বিহারের নওদা লোকসভা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে এনে বেগুসরাইয়ে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। গত নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে লড়ে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী ডঃ ভোলা সিংহ।


অন্যদিকে, মহাজোটে বামেদের না রাখায় কংগ্রেস-আরজেডির উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সিপিআই রাজ্য সম্পাদক। কংগ্রেস-আরজেডি বামেদের বাইরে রেখে যেভাবে আসন সমঝোতা করেছে, তাতে বামেদের আপত্তি রয়েছে। সিপিআই সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে আমাদের একটা বোঝাপড়া ছিল। বেগুসরাই ও মধুবনীসহ মোট ৬টি কেন্দ্রে আসন ছড়ার কথা হয়েছিল। সেকারণেই আমি বুঝতে পারছি না, তাঁর ছেলের (তেজস্বী যাদব) কাছে বিষয়গুলো কীভাবে জ্ঞাপন করা হল।”