সুরাত: ‘মোদি, কী করে সব চোরের এই একটাই পদবি হয়’, এই মন্তব্যের জন্য রাহুল গাঁধীকে সমন পাঠাল সুরাতের এক আদালত। তাঁকে ৭ জুন এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সুরাতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বি এইচ কাপাডিয়া।
কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে গত ১৬ এপ্রিল এ ব্যাপারে ভারতীয় দণ্ডবিধির মানহানি সংক্রান্ত ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন সুরাত পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। ‘সব মোদিই চোর’ মন্তব্যে রাহুল মোদি পদবিধারী সবাইকেই চরম অপমান করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। রাহুলের ১৩ এপ্রিল কর্নাটকের কোল্লারের জনসভায় করা মন্তব্যের উল্লেখ করেন।
সেখানে রাহুল বলেছিলেন, নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি, কী করে ওদের সবার পদবি একই-মোদি হয়। সব চোরের পদবি কেন একটাই, মোদি? পূর্ণেশের মত, মোদি পদবিধারী বহু মানুষ আছেন। কিন্তু তাঁরা সবাই কি চোর? উনি গোটা সম্প্রদায়কেই অপদস্থ করেছেন, যাঁদের মধ্যে আমিও পড়ি। কেননা আমিও মোদি। তাই সুরাতের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি।
গতকালই আমদাবাদের এক আদালত বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে ‘খু্নের আসামী’ বলায় বিজেপি কর্মীর দায়ের করা ফৌজদারি মানহানি মামলার ব্যাপারে রাহুলকে সমন জারি করে।
রাহুলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশনও। তাঁর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের শাদোলে গত ২৩ এপ্রিল বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে উদ্ধৃত করে কমিশন জানিয়েছে, মোদি সরকার আদিবাসীদের গুলি করে মারতে একটি নতুন আইন চালু করেছে। রাহুলকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলে এ ব্যাপারে কমিশন নির্বাচনী আচরণবিধির একটি ধারার কথা বলেছে, যাতে বলা আছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রমাণিত নয় বা খতিয়ে না দেখা কোনও অভিযোগ তোলা যাবে না। রাহুল সময়সীমার মধ্যে জবাব না পাঠালে তাঁকে আর কিছু না জানিয়েই ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
রাহুলের বিরুদ্ধে দুজন বিজেপি কর্মী কমিশনে অভিযোগ জানালে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট চাওয়া হয়।
রাহুল নাকি বলেছেন, মোদি সরকার আদিবাসীদের জন্য একটি নয়া আইন এনেছে যাতে এমন একটি লাইন আছে, আদিবাসীদের গুলি করা যায়। ওরা তোমাদের জমি, জঙ্গল, জল সব কেড়ে নেবে।