অমেঠি ও নয়াদিল্লি: হলফনামায় ঘোষিত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে স্মৃতি ইরানিকে তোপ কংগ্রেসের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী অমেঠিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে। গতকাল মনোনয়ন পেশের সময় দেওয়া হলফনামায় ইরানি জানান, ১৯৯১ সালে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন, ১৯৯৩-এ উচ্চমাধ্যমিক। তিন বছরের ব্যাচেলর অব কমার্স ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হলেও ১৯৯৪-এ পার্ট ওয়ান শেষ করেননি। অর্থাত স্নাতক পর্ব সম্পূর্ণ হয়নি তাঁর। ২০১৪ সালে পেশ করা হলফনামায় তিনি নাকি উল্লেখ করেছিলেন, ১৯৯৪ এ তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন। সেবারই তাঁর দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, বিরোধীরা স্মৃতি স্নাতক নন বলে অভিযোগ করেছিলেন।
আজ তাঁকে ‘সিরিয়াল লায়ার’ বলে আক্রমণ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। স্মৃতি শিক্ষাগত যোগ্যতার ‘মিথ্যা, জাল রেকর্ড’ দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে পরস্পরবিরোধী হলফনামা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে এজন্য তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি করেছেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা বলেন, তিনি স্নাতক নন, বিরোধীদের এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এতদিন নাকচ করলেও গতকাল স্বীকার করেছেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তি হলেও তা সম্পূর্ণ করেননি তিনি। ওনার অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত, তাঁর প্রার্থীপদও বাতিল হোক।
প্রিয়ঙ্কা বলেন, স্মৃতি ইরানি স্নাতক নন, এ নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই আমাদের। বিষয়টা হল, তিনি শপথগ্রহণের সময় এবং আদালতেও বারবার মিথ্যা বলেছেন। ভারতবাসী এই মিথ্যাচার দেখছেন, একজন সিরিয়াল মিথ্যাচারীকে উপযুক্ত রাজনৈতিক জবাব দেবেন। এটা স্পষ্ট, উনি শুধু শিক্ষা সংক্রান্ত ডিগ্রি নিয়ে ভুল তথ্যই দেননি, কমিশনেও পরস্পরবিরোধী হলফনামা দিয়েছেন, যা জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫ এ ও ৩৩ ধারায় অপরাধ।
এ নিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।