তবে বৃহস্পতিবার রাতে সব কিছু ছাপিয়ে গেল এক বিরল দৃশ্য। মাঠে মেজাজ হারালেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি! বরফশীতল মস্তিষ্কের জন্য ক্রিকেটবিশ্ব যাঁকে ডাকে 'ক্যাপ্টেন কুল' নামে। সেই ধোনিই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হলেন। মাঠেই শুরু করে দিলেন তর্কাতর্কি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতলেও, শাস্তিস্বরূপ ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ কাটা গেল সিএসকে অধিনায়কের।
ঠিক কী হয়েছিল জয়পুরে?
রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হয়েছিল সিএসকে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থান তোলে ১৫১/৭। রান তাড়া করতে নেমে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল সিএসকে। পাল্টা লড়াই শুরু করেন ধোনি ও অম্বাতি রায়াডু। ৪৭ বলে ৫৭ রান করেন রায়াডু। শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। বোলার ছিলেন বেন স্টোকস। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে শুরু করেন রবীন্দ্র জাডেজা। তারপরই প্রত্যাঘাত স্টোকসের। ধোনিকে বোল্ড করে দেন ইয়র্কারে। ৪৩ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন তিনি। চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য তখনও ৩ বলে প্রয়োজন ৮ রান।
পরের বলেই ক্রিজে নবাগত স্যান্টনারকে একটি ফুলটস বল করেন স্টোকস। বল কোমরের উপরের উচ্চতায় ছিল। তবে আম্পায়ার সেটিকে 'নো' বল দেননি। স্যান্টনার আবেদন করলেও বলটিকে 'ফেয়ার ডেলিভারি' হিসাবে চিহ্নিত করেন আম্পায়ার। দৃশ্যতই ক্ষিপ্ত ধোনি ডাগ আউট ছেড়ে মাঠে প্রবেশ করে তর্ক জুড়ে দেন আম্পায়ার উল্লাস গান্ধের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত স্কোয়্যার লেগ আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ড ধোনিকে বুঝিয়ে মাঠের বাইরে বার করেন।
শেষ বলে সিএসকে-র দরকার ছিল ৩ রান। ছক্কা মেরে চেন্নাইকে জয় উপহার দেন স্যান্টনার। ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় নাটকীয় ভাবে।
অধিনায়ক হিসাবে আইপিলে একশোতম ম্যাচ জিতলেন ধোনি। তবে সেই কৃতিত্ব ছাপিয়েও শিরোনামে থেকে গেল 'ক্যাপ্টেন কুল' এর মেজাজ হারানোর ঘটনা।