অমরাবতী: প্রথম দফাতেই ভোটের বলি ২। অন্ধ্রপ্রদেশে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে প্রাণ হারাল দুই দলের দুই কর্মী। মৃতদের মধ্যে একজন তেলুগু দেশম পার্টির কর্মী এবং অন্যজন ওয়াই এস আর কংগ্রেসের কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। ওই ঘটনায় বিরোধী দলের একজন জখম হয়েছে বলেও খবর। তাড়িপত্রী কেন্দ্রের বীরপুরম গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পার্টি কর্মী খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তেলুগু দেশম পার্টির শীর্ষ নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। একই সঙ্গে দলের কর্মী খুনের ঘটনায়  ওয়াই এস আর কংগ্রেসের উপরই দায় চাপিয়েছেন তিনি।


২৫টি লোকসভা ও ১৭৫টি বিধানসভায় একই সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানেই সংঘর্ষে জড়াল তেলুগু দেশম পার্টি এবং ওয়াই এস আর কংগ্রেস কর্মীরা। ইভিএম খারাপ হওয়ায় অনেক বুথেই দীর্ঘক্ষণ থমকে থাকল মতদান পক্রিয়াও। ক্ষোভে ইভিএম ভাঙলেন জনসেনা দলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক মধুসূদন গুপ্তা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্র পুলিশ।


এদিন গুট্টি পোলিং স্টেশনে নিজের ভোট দিতে গিয়েছিলেন মধুসূদন গুপ্তা। সেখানে কেন বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রের নাম পরিষ্কার করে লেখা নেই, সেই নিয়েই ভোট কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। ব্যালট পেপারও ঠিকঠাক করে ছাপানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই ভোটকর্মীদের ওপর খড়্গহস্ত হয়ে পরেন জনসেনা দলের ওই নেতা।  ক্রোধে ইভিএম তুলেই আছাড় মারেন মধুসূদন গুপ্তা।  তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে পিটিআই সূত্রে খবর।





যদিও অন্ধ্রের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক গোপালকৃষ্ণ দিবেদী জানিয়েছেন, রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হচ্ছে। যেখানে যেখানে ইভিএম নিয়ে সমস্যা ছিল তার সমাধান করা হয়েছে। রাজ্যের মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, গুজবে কান দেবেন না।


তবে ইভিএম সমস্যা নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা লুকিয়ে রাখেননি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। বৃহস্পতিবার উনদাবলী গ্রামে সপরিবারে ভোট দেন চন্দ্রবাবু। ভোট দিয়ে এসেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “উন্নত বিশ্বের কোনও দেশেই ইভিএম-এ ভোট হয় না। কারণ এতে কারসাজি করা যায়। আমরা ইভিএমের বদলে ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।”





প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে রাজ্য ভাগ হওয়ার পর এটাই অন্ধ্রের প্রথম লোকসভা নির্বাচন। এই রাজ্যে মোট ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৭ জন নথিভুক্ত ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে ১ কোটি ৯৪ লাখের ওপরে রয়েছে পুরুষ ভোটার। মহিলা ভোটারের সংখ্যা এই রাজ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি। এখানে প্রায় ২ কোটির কাছাকাছি মহিলা ভোটার রয়েছেন। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন ৪ হাজারের কাছাকাছি। এই রাজ্যে এই প্রথম ভোট দিতে চলেছেন ১০ লাখ ১৫ হাজার নতুন ভোটার। উল্লেখ্য, ১৭৫টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২ হাজার ১১৮ জন প্রতিনিধি। আর ২৫টি লোকসভা আসনে লড়াই হচ্ছে ৩১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে।