নিউ ইয়র্ক: ২০১০ সালেও ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১২২ কোটি ৪৬ লক্ষ। এক দশকের মধ্যেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটিতে। ৯ বছরেই ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছ সাড়ে ১৩ কোটির ওপরে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ১.২ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে ভারতের। যা চিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। চিনে এই ৯ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে মাত্র ০.৫ শতাংশ। ১৯৬৯ সালে এই কমিউনিস্ট দেশের জনসংখ্যা ছিল ৮০ লাখের কিছু বেশি। ১৯৯৪ সালে তা একশো কোটির গণ্ডি টপকে ১২৩ কোটিতে এসে দাঁড়ায়। স্টেট অব ওয়ার্লড পপুলেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালে চিনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি।


অন্যদিকে, ১৯৯৪ সালেও ভারত ছিল ৯৪ লাখের দেশ। আড়াই দশকেই সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটিতে। বিগত ২৫ বছরেই ভারতের জনসংখ্যা বেড়েছে ৪২ কোটি।


ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ডসের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতীয়দের গড় আয়ুও বেড়েছে। স্বাধীনতার পরপরও ভারতীয়দের গড় আয়ু ছিল পঞ্চাশের কাছাকাছি। ১৯৯৪ সালে ভারতীয়দের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ বছরে। ২০১৯ সালে তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ বছরে। ওই রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে ০-১০ ও ১০-২৪ বছরের নাগরিকের সংখ্যা ২৭ শতাংশ।  দেশের সিংহভাগ (৬৭ শতাংশ) মানুষের গড় বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। ৬ শতাংশ এমন মানুষ রয়েছেন যাদের বয়স ৬৫ বছরের ওপরে।


ভারতীয় নারীরা তাদের যৌনসঙ্গী,  গর্ভনিরোধক এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন, এমন বিষয়গুলোতেও এই প্রথম তথ্য প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সন্তানের জন্ম দেওয়া ও যৌনতা সংক্রান্ত অধিকার-এই বিষয়ে ভারতীয় মহিলারা তেমনভাবে সচেতনই নন। আর সে কারণেই তারা তাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে সন্দিহান। বাল্যবিবাহের মতো প্রথা নারীর বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে।