তমলুক: তমলুকের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সাইক্লোন ‘ফণী’-র আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও তাঁর সাড়া পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। ফণী-র তাণ্ডবে ওড়িশার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা খুবই কম ছিল পশ্চিমবঙ্গে। যদিও ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে তার আঁচ পড়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল সূত্রে প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেননি বলে অভিযোগ করা হলেও গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) থেকে দাবি করা হয়, দুবার নবান্ন-তে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীকে ধরার চেষ্টা করা হলেও তিনি সেখানে না থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আজ নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেন, আমি সাইক্লোন ফণীর ব্যাপারে কথা বলার জন্য মমতাকে ফোন করলেও তিনি কথা বলেননি। স্পিডব্রেকার দিদি রাজনীতি করতেই বেশি আগ্রহী। রাজ্যের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও সরকার তা হতে দেয়নি।
কেন মোদি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে সরাসরি রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে কথা বলে ফণী-পরবর্তী পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন, প্রশ্ন তুলে তাঁকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
জনসভায় এর জবাব দিতে গিয়ে মোদি বলেন, এইমাত্র ওড়িশার ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে এখানে এলাম। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। ওনাকে ফোন করি, কিন্তু দিদির এতই ঔদ্ধত্য যে, আমার সঙ্গে কথা বলেননি। ওনার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু উনি যোগাযোগ করেননি।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, জয় শ্রীরাম বললেন জেলে ঠাঁই হবে।
তিনি আরও বলেন, মাসুদ আজহার ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষিত হওয়ায় গোটা দেশ খুশি, কিন্তু দিদি কখনই এই সাফল্যের প্রশংসা করেননি। ওনার ভয়, পাছে এতে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি মার খায়!