বেঙ্গালুরু: রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন বর্ষীয়ান সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। শনিবার উত্তরপ্রদেশের এক নির্বাচনী সভায় হাজির হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে নিয়ে বেনজির আক্রমণ করেন নমো। কংগ্রেসের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানান মোদি। তিনি বলেন, রাজসভাসদরাই কেবল রাজীব গাঁধীকে ‘মিস্টার ক্নিন’ (স্বচ্ছ ভাবমূর্তি) বলতেন। তবে তাঁর (রাজীব গাঁধী) জীবন শেষ হয়েছে ‘এক নম্বর দুর্নীতিবাজ’ হয়েই। নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যের জবাবে সৌজন্য দেখিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে ‘আলিঙ্গন জানিয়েছেন’। একই সঙ্গে মোদিকে কর্মফলের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই পথে না গিয়ে আক্রমণের রাস্তায়ই হাঁটলেন খাড়্গে।








মল্লিকার্জুন খাড়্গে মোদিকে সরাসরি নিশানা করে বললেন, “সংস্কার জানেন না, শিক্ষা পাননি। রাজনৈতিক ও বাস্তববোধের অভাব রয়েছে নরেন্দ্র মোদির।” সঙ্গে আরও যুক্ত করেন, “ছোটবেলাই ঘর থেকে পালিয়েছেন। কোথায়ই বা সংস্কার শিখবেন? কথা বলার সময় জিহ্বার উপর নিয়ন্তরণ থাকা দরকার।”


দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন রাজীব গাঁধী। তাঁকে এমন আক্রমণ করার অর্থ মোদির কোনও হৃদয়ই নেই। তাঁর মধ্যে কোনও স্বদেশ প্রেম নেই। তাঁর এক এবং একমাত্র উদ্দেশ্য ভোট জেতা। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি, প্রধানমন্ত্রী জানেনই না, কোন কথা বলতে হয় আর কোনটা নয়। খাড়্গের এই ঝাঁঝালো আক্রমণের সুরে সুর মিলিয়েছেন ভারতীয় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অন্যতম জনক তথা রাজীব গাঁধীর একসময়ের উপদেষ্টা স্যাম পিত্রোদা।


রাজীব গাঁধীকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির বেনজির আক্রমণে হতাশ, ক্ষুব্ধ ও বাকরুদ্ধ ভারত সরকারের এই প্রাক্তন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। স্যাম পিত্রোদা বলেন, গাঁধী (মহত্মা) ভূমি থেকে কেউ এমন মন্তব্য করছেন, তা তিনি ভাবতেই পারেন না। তাঁর মন্তব্য, “মহাত্মা গাঁধীর জন্মভূমি গুজরাত থেকে এই রকম মন্তব্য ভাবাই যায় না। যিনি (রাজীব গাঁধী) সম্মানের সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁকে নিয়ে  সর্বোচ্চ পদ থেকে এমন মন্তব্য অবিশ্বাস্য।”


যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাশেই দাঁড়িয়েছে বিজেপি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি যে বক্তব্য রেখেছেন তা সর্বৈব সত্য। বিজেপির এই অবস্থানের পাশে দাঁড়িয়েছে এনডিএ শরিক আকালি দলও। তারাও মোদির বক্তব্যকে সমর্থন করছে।