নয়াদিল্লি: স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে তাঁর পাশে অরুণ জেটলি। ফেসবুক পোস্টে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এও লিখেছেন, প্রথম দফার ভোটগ্রহণে দেশব্যাপী ‘মোদি ফ্যাক্টর’ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সোমবার সারা দেশের ১৮টি রাজ্য, দুটি কেন্দ্রশাসিত এলাকায় ৯১ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ দিয়ে ভারতে সাত দফার নির্বাচন পর্ব শুরু হয়েছে।
বিরোধীদের কটাক্ষ, বিদ্রূপ করে বাম, তৃণমূল ও কংগ্রেসের ঝগড়া ক্রমশ তীব্র, স্পষ্ট হচ্ছে বলে অভিমত জানিয়ে জেটলি লিখেছেন, নেতৃত্বের ইস্যুতে যা ভেবেছিলাম, পরিস্থিতি দেখছি, তার চেয়েও হতাশাজনক। কংগ্রেস সভাপতিকে বিপাকে ফেলার কোনও চেষ্টাই বাদ রাখেননি বসপা নেত্রী মায়াবতী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও নেতা, গঠবন্ধন, ন্যূনতম একক কর্মসূচি, প্রকৃত ইস্যু নেই। একটা ‘ব্যর্থ প্রচারের’ যে অনেক ভাগীদার নেই, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ তো ‘রেন্ট এ কজ’ অর্থাত্ ‘ইস্যু ধার দিন’ প্রচার।
‘ইস্যু ধার করার প্রচারে নেমেছেন ভারতের বিরোধীরা’ শিরোনামে লেখা পোস্টে জেটলির দাবি, অনেক রাজ্যেই বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ, জোট ঠিকঠাক কাজ করেনি। বহুমুখী লড়াইয়ে অবশ্যই লাভবান হবে বিজেপি। বিরোধীদের উপদেশের সুরে তিনি লিখেছেন, একটা জনপ্রিয় সরকার, একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে হলে কাল্পনিক নয়, সত্যিকারের কিছু ইস্যু চাই। বিরোধীরা ভোটের ‘ইস্যু বানাতে বানাতেই’ গত দুটো বছর নষ্ট করেছেন, যেগুলি আদৌ ছিলই না।
তিনি আরও লিখেছেন, বিজেপি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা হচ্ছে, লোকে পুরোপুরি ভুলে গিয়েছে যে, রাহুল গাঁধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রকাশ্যে স্ক্রুটিনি হলেও অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। আরে, উনিও তো মাস্টার্স ডিগ্রি ছাড়াই এম ফিল করেছেন!
রাফাল নিয়ে বিরোধীদের ‘মিথ্যা’ প্রচারের তেমন গুরুত্ব নেই বলেও অভিমত জানান জেটলি। শিল্পপতিদের ঋণ মকুবের খবর মিথ্যা, ইভিএম রিগিংয়ের হাতিয়ার, এটা আরও বড় মিথ্যা বলে মন্তব্য করেন। লেখেন, প্রথম দফার ভোট শেষ। মোদি ফ্যাক্টর দেশব্যাপী স্পষ্ট। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি রাজ্যগুলিতে, এমনকী যেখানে বিরোধী জোট আছে, সেখানেও দলীয় কর্মীদের অমিত শাহ ৫০ শতাংশ ভোটের যে টার্গেট দিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত হবে বলে মনে হয়।
বিরোধীরা প্রতিদিনই নতুন ইস্যু তুলছে বলে জানিয়ে জেটলি লিখেছেন, একদিন পুলওয়ামা হামলা নিজেদেরই ঘটানো কিনা প্রশ্ন তোলা হল, আরেকদিন বলা হল, বালাকোট হামলা আদৌ হয়েছে কি? একদিন বিজেপিকে যুদ্ধের উন্মাদনা তৈরির দায়ে অভিযুক্ত করা হল, আরেকদিন তাকে পাকিস্তানপন্থী বলা হল।