ভোট শেষ, স্ট্রংরুমে বন্দি ইভিএমে-র নিরাপত্তা চেয়ে কাল কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল সহ বিরোধীরা
Web Desk, ABP Ananda | 20 May 2019 06:37 PM (IST)
বিজেপি অবশ্য এসব অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এনিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হারের আশঙ্কাতেই বিরোধীরা এমন অভিযোগ তুলছে বলে কটাক্ষ করেন।
কলকাতা: স্ট্রংরুমে বন্দি ইভিএমে-র নিরাপত্তার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর তিনটেয় দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। রবিবার শেষ হয়েছে লোকসভা ভোট। বৃহস্পতিবার গণনা। এর মধ্যে ফের ইভিএম-ইস্যুতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে তারা। বিরোধীদের মত, ইভিএমে সবসময় কলকাঠি নাড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে তার মাধ্যমে প্রকৃত জনমত যাচাই হওয়া সম্ভব নয়। রবিবার ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবার ইভিএম বদলের আশঙ্কা প্রকাশ করেন তৃণমূলনেত্রী। বিজেপি অবশ্য এসব অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এনিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হারের আশঙ্কাতেই বিরোধীরা এমন অভিযোগ তুলছে বলে কটাক্ষ করেন। তবে বিরোধীদের দাবি, তাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে হরিয়ানার ফতেহাবাদের একটি ঘটনায়। এখানে ভোড়িয়া খেরা মহিলা কলেজে স্ট্রং রুম হয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, রবিবার রাতে একটি ট্রাক সেখানে পৌঁছোয়। ট্রাকের মধ্যে বড় বড় সিন্দুক ছিল। ইভিএম বদলানোর উদ্দেশে ট্রাকটিকে সেখানে আনা হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেতৃত্বের। কংগ্রেসের দাবি, জেলা প্রশাসন বিজেপির জেলা নেতৃত্বের মতো এবং স্ট্রং রুমের সুরক্ষায় মোতায়েন নিরাপত্তাকর্মীরা বিজেপির এজেন্টের মতো কাজ করছেন। এই ঘটনার পর থেকে স্ট্রং রুমের ওপর নজরদারির জন্য কলেজের সামনে তাঁবু খাটিয়ে ২৪ ঘণ্টা থাকার ব্যবস্থা করেছেন কংগ্রেসকর্মীরা। যদিও জেলা প্রশাসন কংগ্রেসের এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ভোটগণনার পর ইভিএম নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাকে করে সিন্দুক আনা হয়। কিন্তু, বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় সেগুলি ফেরত পাঠানো হয়।