তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস সভাপতি আগেই ভোটের প্রচারে সভা করে গিয়েছেন। এর একদিন পর বিজেপির সভা থেকে মোদি অভিযোগ করেন যে, ‘কংগ্রেস ও অসততা একে অপরের ভালো বন্ধু।কিন্তু মাঝেমধ্যে ভুল করে তারা সত্যিটা বলে ফেলে। এখন তারা বলছে, এবার ন্যায় হবে। কিন্তু বলতে না চেয়েও তারা স্বীকার করে ফেলেছে যে, দীর্ঘ ৬০ বছরে যা তারা করেছে, তা অন্যায়। আমি কংগ্রেস দলের কাছে জানতে চাই, ১৯৮৪-র শিখ বিরোধী হিংসার শিকারদের ন্যায় কে করবে? দলিতদের প্রতি হিংসার ন্যায় কে করবে? এক পরিবারের পছন্দ নয় বলে এম রামচন্দ্রনজীর সরকারকে ভেঙে দেওয়ার ঘটনার ন্যায় কে করবে? ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় পীড়িতদের প্রতি ন্যায় কে করবে?’
রাহুল গাঁধী তাঁর প্রচারে তামিল ভাবাবেগ ও দ্রাবিড় ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে বিজেপির হিন্দুত্ব লাইনকে আক্রমণ করেছিলেন। পাল্টা মোদি তামিলনাড়ুর আধ্যাত্মবাদ, প্রয়াত এআইএডিএমকে নেতা এমজি রামচন্দ্রন ও জে জয়ললিতার প্রসঙ্গ এবং শ্রীলঙ্কার তামিলদের কল্যাণের কথা উল্লেখ করেছেন তাঁর ভাষণে।
মোদি তাঁর ভাষণে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন জোটকে একহাত নিয়েছেন। এই জোটকে ‘মহামিলাবটি’ (ভেজাল) বলেও আক্রমণ করেছেন তিনি। মোদি বলেছেন, কংগ্রেস ও ডিএমকে একে অপরের শত্রু। অতীতে ডিএমকে-কে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল কংগ্রেসের হাতে। এখন তারাই আবার হাত মিলিয়েছে। মোদি বলেছেন, ভারত এখন বিশ্বমঞ্চে দ্রুত নিজের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে। কিন্তু বিরোধী জোটের শরিকরা সে কথা মানতে পারছে না। সেজন্যই তারা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেছেন মোদি।
রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার যে প্রস্তাব ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন দিয়েছিলেন, তাকেও কটাক্ষ করেছেন মোদি। তিনি বলেছেন, স্ট্যালিনের ওই প্রস্তাব বিরোধী মহলে হালে পানি পায়নি।