রাহুল গাঁধীর কাছে তিনি ‘দাঙ্গাবাজ’। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা তাঁকে আক্রমণ করেছেন দুর্যোধন বলে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একধাপ এগিয়ে তাঁকে ‘গণতান্ত্রিক থাপ্পড়’ কষানোর মতো মন্তব্য করেছেন। এবার সেই তালিকায় ঢুকলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী। প্রধানমনন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘জল্লাদ’ বলে আক্রমণ করলেন এই আরজেডি নেত্রী।


রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেত্রী ট্যুইটে লিখেছেন, “অনেক সাংবাদিক ও বিচারপতির খুন ও অপহরণের নেপথ্যে রয়েছেন মোদি।” প্রধানমন্ত্রীকে ‘খুনে মানসিকতা’র বলেও আক্রমণ করেন তিনি।






প্রসঙ্গত, রাবড়ি দেবী প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য নিয়েও নিজের মত ব্যক্ত করেছেন। রাবড়ি দেবীর মতে, মোদিকে দুর্যোধন বলে ঠিক করেননি প্রিয়ঙ্কা। অন্য কোনও শব্দবন্ধ ব্যবহার করা উচিত ছিল প্রিয়ঙ্কার, মত রাবড়ির।


অন্যদিকে লালু-পত্নীর এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। বিরোধীরা ভয় পেয়েই এই ধরনের মন্তব্য করছেন বলে মত বিহারের বিজেপি নেতার। সুশীল মোদির কথায়, “রাহুল গাঁধী মোদিকে দাঙ্গাবাজ বলেছেন, প্রিয়ঙ্কা তাঁকে দুর্যোধনের সঙ্গে তুলনা করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাপ্পড় মারার কথা বলেছেন, রাবড়ি দেবীর বক্তব্য সেই ক্রমপর্যায়েরই অংশ।” বিহারের বিজেপি নেতা প্রত্যয়ী, দেশের মানুষ মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছে। গত ৪ দফায় মানুষ বিজেপির পক্ষেই রায় দিয়েছে বলে দাবি করেছেন সুশীল মোদি।


রাবড়ি দেবীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছে আরজেডি-র পুরনো শরিক জেডিইউ। জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা নীরজ কুমারের মন্তব্য, “নিজের দুই ছেলেকে পড়াশুনা শেখাতে পারেননি রাবড়ি দেবী। এবং তাঁদের মধ্যেকার মহাভারত বাইরে বেরিয়ে এসেছে। সেই হতাশা থেকেই অশ্লীল মন্তব্য করছেন তিনি। ২৩ মে ফলাফল বেরনোর পর তাঁরা কী প্রতিক্রিয়া দেন, এটাই এখন দেখার।”