অমেঠি: বৃহস্পতিবারই কেরলের ওয়েইনাড় কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সপ্তাহও কাটেনি, শোনা যাচ্ছে আগামী বুধবারই উত্তরপ্রদেশের অমেঠি কেন্দ্রে মনোনয়ন পেশ করবেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই দিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন সভানেত্রী তথা ইউপিএ-চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়াও।


উত্তরপ্রদেশেরই এক কংগ্রেস নেতা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ১০ তারিখ মনোনয়ন পেশের পরই একটি রোড-শো করবেন রাহুল। সেখানে ওইয়েনাড়ের মতো অমেঠিতেও থাকবেন প্রিয়ঙ্কা। গৌরিগঞ্জের ওই রোড-শো-এ সামিল হতে পারেন রাহুল জননী সনিয়াও। এমনও শোনা যাচ্ছে ছেলের মনোয়ন জমা দেওয়ার পরদিনই মনোনয় জমা করতে চলেছেন সনিয়া গাঁধীও। ১১ এপ্রিল, দেশে যখন প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে ঠিক সে দিনই রায়বরেলি কেন্দ্রে নিজের মনোনয়ন জমা করবেন তিনি।


উল্লেখ্য, রায়বরেলি ও অমেঠি-এই দুই কেন্দ্র থেকে অতীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী ও রাজীব গাঁধী। সেই পরম্পরা ধরে রেখেই রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন সনিয়া। ১৯৯৯ থেকে টানা দুই দশক এই কেন্দ্র থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ইন্দিরার পুত্রবধূ। উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে এই কেন্দ্রেই পরাজিত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। সেবার ৫৬ শতাংশের উপরে ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন জনতা দলের নেতা রাজ নারায়ণ।


অন্যদিকে অমেঠি কেন্দ্র বরাবরই কংগ্রেস গড় হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৭ ও ১৯৯৮ সালের নির্বাচন ছাড়া এই কেন্দ্রে হারতে হয়নি কংগ্রেসকে। ১৯৬৭ সালের পর থেকে এই লোকসভা কেন্দ্রে স্রেফ একবার জিতেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (১৯৯৮)। পরে সনিয়া গাঁধী ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অমেঠি পুনরুদ্ধার করেন। অতীতে জরুরি ব্যবস্থা পরবর্তী সময়ে ৭৭-এর নির্বাচনে অমেঠি থেকে পরাজিত হয়েছিলেন রাজীব। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সাল থেকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হন রাজীব পুত্র রাহুল। এরপর টানা তিনবার (২০০৪, ২০০৯, ২০১৪) অমেঠি থেকেই জয়ী হয়েছেন তিনি। ভোটের মার্জিন কমলেও গত লোকসভা ভোটেও রাহুল গাঁধী এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। হেরেছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী স্মৃতি ইরানি।


সপ্তদশ লোকসভাতেও অমেঠিতে রাহুল বনাম স্মৃতির লড়াই। এই নির্বাচনে অমেঠির সঙ্গেই কেরলের ওয়েইনাড় থেকেও প্রার্থী রাহুল। বিজেপির কটাক্ষ, হার নিশ্চিত বলেই  ওয়েইনাড় থেকেও প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। যদিও কংগ্রেসের দাবি, দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরের মেলবন্ধন ঘটাতেই কেরল থেকেও প্রার্থী হয়েছেন রাহুল।