নয়াদিল্লি: ক্রিকেট থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা নভজ্যোত সিংহ সিধু বিজেপি ঘুরে এখন কংগ্রেস। এবার তিনি নতুন বিতর্কে। বিহারের কাটিহারের কংগ্রেস প্রার্থী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিক আনোয়ারের সমর্থনে সিধু মুসলিমদের জোট বেঁধে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়ে হারানোর ডাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বিহারে সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে সিধু নাকি বলেছেন, নিজেদের সংখ্যালঘু মনে করবেন না। এখানে আপনারাই সংখ্যাগুরু। ৬৪ শতাংশ। ওয়েইসির (এআইএমআইএম সভাপতি) মতো লোকজনের পাল্লায় পড়বেন না। বিজেপিই ওদের খাড়া করেছে। নিজেদের শক্তি চিনুন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে দলবেঁধে ভোট দিন। বিহারের সীমাঞ্চল এলাকায় কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নামা সিধু কাটিহারের বলরামপুর বিধানসভার বরাসোলের মিছিলে একথা বলেন। সিধুর ভাষণের ভিডিও দেখিয়েছে স্থানীয় চ্যানেলগুলি। সম্ভবত, তিনি পাশের কিষাণগঞ্জ জেলার সঙ্গে কাটিহারকে গুলিয়ে ফেলেন। কিষাণগঞ্জে ভোটারদের অধিকাংশ মুসলিম।
প্রত্যাশিত ভাবেই পঞ্জাবের মন্ত্রী সিধুর মন্তব্যে প্রবল আপত্তি জানিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, নির্বাচন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কংগ্রেস নেতার বক্তব্য খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক। বিজেপির বিহার শাখার শীর্ষ নেতা দেবেশ কুমার বলেছেন, সিধুর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণের নীতির সঙ্গে তাঁর মন্তব্য মানানসই বলে মনে হয়। আসন্ন পরাজয়ের আশঙ্কারই ছাপ রয়েছে তাতে। অন্যদিকে আমাদের দল ‘সবকা সাথ, সব কা বিকাশ’ নীতি নিয়ে চলছে।
নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও সিধুর নিন্দায় বলেন, মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটানো কংগ্রেসের ডিএনএ-তে আছে। কাটিয়ারে সিধুর বক্তৃতার ভিডিওক্লিপ দেখিয়ে তিনি বলেন, বিভাজন ঘটানো কংগ্রেসের ডিএনএ-রই অঙ্গ। এটা ওদের নতুন কিছু নয়। ভিডিওতে সিধুকে বলতে শোনা গিয়েছে, দেশের সংখ্যালঘুরা ওখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ওরা যদি জোট বেঁধে ভোট দেয়, মোদি সরকার অপসারিত হবে।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী জাতীয়তাবাদ নিয়ে বিজেপির ব্যাখার সমালোচনা করায় তিনি বলেন, সিধুর ওখানকার ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘুকে জোট বাঁধার আহ্বান কী ভাবে দেশের ভাল করবে? কংগ্রেস হয়তো স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনও এক সময় একটা ভূমিকা নিয়েছিল, কিন্তু এখন ওদের পরিচয়, ওরা টুকরে, টুকরে বাহিনীকে তোল্লা দেয়, সেনাবাহিনীর সাহস, শক্তির প্রমাণ চায়। বিরোধীদের আচরণেই জাতীয়তাবাদ, জাতীয় সুরক্ষার মতো বিষয় নির্বাচনী প্রচারের কেন্দ্রে চলে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।