সুষমা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মমতাজি, আপনি শালীনতার সব সীমা লঙ্ঘন করলেন আজ। আপনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর মোদিজী দেশের প্রধানমন্ত্রী। কাল হয়তো ওনার সঙ্গেই আপনাকে কথা বলতে হবে। তাই একটি শায়েরি মনে করাতে চাই, দুশমনি জম কর করো লেকিন ইয়া গুঞ্জাইশ রহে, জব কভি হম দোস্ত হো জায়ে তো শর্মিন্দা না হো।(শত্রুতা, হিংসা করুন, কিন্তু আর্জি রাখছি, যদি কোনওদিন আমরা বন্ধু হয়ে যাই, তবে লজ্জা পাবেন না)।
তবে সুষমার ট্যুইটের পরিপ্রেক্ষিতে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন তেজস্বী যাদব।
লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা সুষমাকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কুকথা প্রয়োগ করে থাকেন, তা নিয়েও ট্যুইট করুন! তেজস্বীও ট্যুইট করেছেন, প্রধানমন্ত্রীও যে শালীনতার মাত্রা ছাড়ানো মন্তব্য করেন, আশা করি, সেগুলিও শুনেছেন। আপনি তো ওঁর চেয়ে বড়, অভিজ্ঞ, ওয়াকিবহাল, কিন্তু সত্যি জানার পরও সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই টার্গেট করলেন!
গত কয়েকদিনে মোদি ও মমতা, দুজনই পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণে সুর চড়িয়েছেন। ঘাটালে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে আচমকা চলে এসে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়ায় তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ করেন, পারলে মমতা ‘জয় শ্রী রাম’ বলায় আমায় গ্রেফতার করুন! তারও আগে ফণীর প্রভাবে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি ফোনে কথা বলতে চাইলেও মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দেননি বলে অভিযোগ করেন মোদি। পাল্টা মমতা তাঁকে গুরুত্ব না দিয়েই বলেন, ওনাকে প্রধানমন্ত্রী মনেই করি না। নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এলে তাঁর সঙ্গে কথা বলব।