কলকাতা: মমতার (Mamata Banerjee) পাশে দাঁড়িয়ে অধীরকে (Adhir Chowdhury) নিশানা করেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তারপর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভের ছবি সামনে এসেছিল। রবিবার দেখা গেল প্রদেশ কংগ্রেস অফিসের বাইরে মল্লিকার্জুন খাড়গের একাধিক ছবিতে কালি লাগানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার উপর লিখে দেওয়া হয়েছে 'তৃণমূলের দালাল'।
ইন্ডিয়া জোট (INDI Alliance) ইস্যুতে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন খাড়্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তাতে বোঝা যায় তিনি জোটে আছেন- এমনটাই বলেন তিনি। মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের সঙ্গে আছেন, সেটা স্পষ্ট। অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন, সিদ্ধান্ত নেয় হাইকম্যান্ড। আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই চূড়ান্ত হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত না মানলে বেরিয়ে যেতে হবে।' গতকাল মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের সাংবাদিক বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি।
যদিও তারপরেও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর তোপ, 'বাংলায় কংগ্রেসকে শেষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বিরোধিতা থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। মমতার নেতৃত্বে বাংলার কংগ্রেসকে খতম করা হয়েছে বছরের পর বছর। এটা অত্য়'
গতকাল অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি। এরপর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিক নেতা ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন। এরপর শনিবার রাতে প্রদেশ কংগ্রেসের অফিসের বাইরে যে একাধিক হোর্ডিং রয়েছে, যেখানে রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছবি রয়েছে। সেখানে খাড়্গের ছবির উপরে কালি লাগানো হয়েছিল। সকালে এই ছবি দেখা যেতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরী এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে। তিনি এখন বহরমপুরে। সূত্রের খবর, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার। সেই মতো থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। পাশাপাশি ওই হোর্ডিংগুলি থেকে কালি মুছে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু হোর্ডিং খুলে ফেলা হচ্ছে।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের কথায়, দলের মধ্যে এমন মনোমালিন্য থাকতেই পারে। সেটা নিয়ে কেউ বা কারা জলঘোলা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, কংগ্রেসের মধ্য়ে কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি, বাইরের কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এই কাজ করতে পারে।
এই আবহেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে যদি লড়াই করতে চান, তাহলে উপযুক্ত জায়গা খুঁজে নিন। যে বাড়িতে আছেন সেখানে বিভীষণ বেশি। বিভীষণওয়ালা বাড়ি ছাড়ুন, রামের বাড়ি আসুন।'
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অধীর চৌধুরী বলেন, 'কে কী বলছে, কারও জ্ঞান নিয়ে চলি না। নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা দিয়ে পরিচালিত হয়। মানুষের দেওয়ার আশীর্বাদ নিয়ে রাজনৈতিক পুঁজি তৈরি করে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: এবিপি আনন্দে সম্প্রচারিত খবর বিকৃত করে প্রচার! কী সেই ভুয়ো পোস্ট?