মালদা: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না', স্পষ্ট অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র (Amit Shah Hits Out Mamata Banerjee On CAA)। আরও বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন।' সিএএ-নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে বিরোধিতা করছেন, তার সমালোচনা আগেও শাহের মুখে শোনা গিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে সেই সমালোচনার সুরই কয়েক ধাপ চড়িয়ে তিনি বললেন, 'আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে।'


সিএএ নিয়ে...
লোকসভা ভোটের মুখে দেশজুড়ে হঠাৎ সিএএ বিধি বলবৎ করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিরোধিতার ঝড় ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভোটের আগে এই বিধি বলবতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র সমালোচনা করেন। চলতি নির্বাচনী প্রচারে কার্যত প্রত্যেকটি জনসভায় বার বার সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। এদিন করণদিঘির জনসভায় শাহ সেই ইস্যুতে একহাত নেন মমতাকে। হাজির দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, 'মন থেকে বলুন, সিএএ আসা উচিত নাকি উচিত নয়? বাংলাদেশ থেকে আসা শিখ, জৈনদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত কি উচিত নয়? মমতাদিদিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধরা নাগরিকত্ব পেলে আপনার কী অসুবিধা?' এখানেই থামেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে সরাসরি মমতার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশে মদতের অভিযোগও এনেছেন। শাহের অভিযোগ, 'এক তো অনুপ্রবেশ করাচ্ছেন, আবার শরণার্থীদের নাগরিকত্বের বিরোধ করছেন। আজ কংগ্রেস বলেছে, ক্ষমতায় এলে সিএএ বাতিল করবে। আমি বলছি, কংগ্রেস, মমতাদি,কারও সাহস হবে না সিএএ-তে হাত দেওয়ার। সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবেন।' গত মার্চে এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন,  'বিজেপির কাছে সিএএ রাজনীতির বিষয় নয়। বিজেপি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়।' আরও বলেন, 'বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্ক এককাট্টা করার চেষ্টা করছে।' এবার সরাসরি তৃণমূলনেত্রীকে এই নিয়ে আক্রমণ।


অনুপ্রবেশ প্রশ্নে...


এদিনের জনসভায় অনুপ্রবেশ-প্রশ্নেও তৃণমূলনেত্রীকে কড়া আক্রমণ শানান শাহ। বলেন, 'বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত। রোজ হাজার লোকের অনুপ্রবেশ। বন্ধ হওয়া উচিত কি উচিত নয়? মমতা দিদি বন্ধ করতে পারবেন? পারবেন না। কেবল মোদি অনুপ্রবেশ রুখতে পারবেন।'  
  


আরও পড়ুন:ইরফানের সঙ্গে মিলে চালান অ্যাকাডেমি, শেয়ারে-ব্যবসায় বিনিয়োগ, সম্পত্তির হিসেব দিলেন ইউসুফ