কলকাতা: সন্দেশখালির আন্দোলনকারী তথা বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে হইচই পড়ে গিয়েছে। দেবাংশু ভট্টাচার্যর (Debangshu Bhattacharya) বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে (National Commission For Women) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পাশাপাশি তপসিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনও যায়নি বাদ। মূলত গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন দেবাংশুর বিরুদ্ধে।

  


সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে গেলে কি তাহলে তৃণমূল করতে হবে? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের বিরোধী বিজেপি। তাহলে বিজেপি প্রার্থী কী করে প্রকল্পের উপভোক্তা হন? পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূলের। মূলত বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে  নিশানা করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী রেখা ভণ্ডামি করছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েও দিল্লির জমিদারদের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছেন, এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তৃণমূলের কটাক্ষ, পরের বার রেখাকে ফোন করবেন, ওঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যাপারে খোঁজ নিতে ভুলবেন না। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন তৃণমূল নেতৃত্বের ব্রেনচাইল্ড স্বাস্থ্য সাথী কীভাবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ছাড়িয়ে গেছে। এক্স হ্যান্ডলে কটাক্ষ তৃণমূলের।


এর পাশাপাশি, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোও। তাঁর দাবি, বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী। সেই সংক্রান্ত নথি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বসিরহাট লোকসভা বিজেপি প্রার্থী  রেখা পাত্র বলেন,  তৃণমূল কংগ্রেস কী বলতে চাইছে, সরকারি সুবিধা নিতে গেলে তৃণমূল করতে হবে? তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে? প্রধানমন্ত্রী যে সুযোগ সুবিধাগুলো দেয়, পশ্চিমবাংলায়, প্রধানমন্ত্রী কিন্তু একবারও বলেনি যে এই সুযোগ সুবিধাগুলো পেতে গেলে বিজেপি করো। এই প্রসঙ্গে অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের এই পুরনো মন্তব্য়। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,তৃণমূল সরকার কোনও প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করার ক্ষেত্রে কোনও মানুষের রাজনৈতিক রং বিচার করে না।


আরও পড়ুন, আজ ১০০-র নিচে পেট্রোল বিকোচ্ছে এই শহরগুলিতে, কলকাতায় কতটা সস্তা ?


এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, তাহলে বিজেপি প্রার্থীর স্বাস্থ্য়সাথীর সুবিধা পাওয়া নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলছে কীকরে? সাধারণ মানুষের করের টাকায় চলা সরকারি প্রকল্পে তৃণমূলের একার অধিকার নাকি? শুভেন্দু তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করি ওই ভাটাংশুকে। ওটা কি তৃণমূল কংগ্রেস পৈতৃক সম্পত্তি নাকি, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের টাকা? আমরা কোনও স্কিম বলি, বিজেপির স্কিম? আমরা বলি, ভারত সরকারের অর্থ, মোদিজী চালু করেছেন। কী সাহস! বলছে, দিদির খাবি আর মোদির গুণগান করবি! যেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে এই সুযোগগুলো জনগণকে দিচ্ছে। গোটা রাজ্যটা দেউলিয়া। কী দিয়েছেন আপনারা? মায়েরা ঝাঁটা ধরবেন না? ধরবেন না ঝাঁটা?   কেন্দ্র এবং রাজ্য়ের প্রকল্প নিয়ে তরজা আজকের নয়। লোকসভা ভোটের মুখে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল এই ঘটনা।