প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: সন্দেশখালিতে ED-র ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল সিবিআই (CBI On Sheikh Shahjahan)। ঘটনার দিন আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতেই ছিলেন শেখ শাহজাহান। ফোন করে হামলাকারীদেরও তিনিই খবর দিয়েছিলেন, এমনটাই দাবি করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।


বিশদ...
ED-CRPF-এর উপর হামলার দিন বাড়িতেই ছিলেন শেখ শাহজাহান। একাধিক ব্য়ক্তিকে ফোন করেন তিনি। ED-র ওপর হামলা চালাতে সাহায্য় করেন তাঁরাই। বৃহস্পতিবার বসিরহাট আদালতে এমনটাই দাবি করেন সিবিআইয়ের আইজীবী। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ED-র অফিসাররা। রেহাই পাননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। অভিযোগ সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শেখ শাহজাহান। তার ৫৬ দিনের মাথায় তিনি গ্রেফতার হন। এবার ED-CRPF-এর ওপর হামলায় সেই শেখ শাহজাহানের ভূমিকা প্রসঙ্গে আদালতে চাঞ্চল্য়কর দাবি করল সিবিআই। এদিন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালেও, আদালত তা খারিজ করে দেয়। বৃবস্পতিবার সিবিআইয়ের তরফে, দুই অভিযুক্ত সুকমল সরদার, মেহেবুর মোল্লা সহ এক সাক্ষীর গোপন জবানবন্দির আবেদন জানানো হয় আদালতে।  ED-র ওপর হামলার ঘটনায় সুকমল সরদার, মেহেবুর মোল্লা সহ সাতজনকে গ্রফতার করেছিল জেলা পুলিশ। পরে তাঁদের হেফাজতে নেয় CBI...

ফিরে দেখা...
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় যে সেই আলোড়ন সীমাবদ্ধ ছিল, তা নয়। বরং এর পর থেকে স্থানীয়, বিশেষত মহিলারা শেখ শাহজাহান-অনুগামীদের নির্যাতনের অভিযোগে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি ছিল, যে কোনও মূল্যে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'-কে।  ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যে এসে সুর চড়ান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লাগাতার বিক্ষোভের মুখে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ইডির উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি শুনানির আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। তাতে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। গত ৬ মার্চ, সন্দেশখালিতে ডির ওপর হামলার ঘটনায় জোড়া এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। একটি শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়। বনগাঁর ঘটনাতেও দায়ের হয় এফআইআর।বিস্তর টালবাহানা শেষে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হয় শেখ শাহজাহানকে।


আরও পড়ুন:আজ আপনার জেলায় কি বৃষ্টি হবে? নাকি চড়বে পারদ, বাড়বে তাপমাত্রা?