কলকাতা: লোকসভা ভোটের কার কয়েক দিন বাকি। সব দলের প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাজ্যের বাসিন্দাদের মনোভাবের আঁচ পেতে  সমীক্ষা চালিয়েছিল এবিপি সি-ভোটার। সমীক্ষা চলে গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৫৬ জনের সঙ্গে কথা বলেন সমীক্ষকরা। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ৪২ আসনের মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি ২০টি আসন করে এবং কংগ্রেস ২টি আসত জিততে পারে। গতবার তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসন। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, এবার তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমবে। গতবারের থেকে বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়বে দুটি। আর কংগ্রেস দুটোই পাবে। শূন্যই থাকবে বামেরা। 


অন্যদিকে, পিপলস ইনসাইট, পোলস্ট্র্যাটের এবং সিএনএক্স এর সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে বাংলায় তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পারে বিজেপি! 
 


এক নজরে পিপলস ইনসাইট, পোলস্ট্র্যাটের সমীক্ষার রিপোর্ট- 


পশ্চিমবঙ্গে কোন দলের কত আসন?


মোট আসন- ৪২


তৃণমূল- ২১
বিজেপি- ২০
ইন্ডিয়া- ১


সিএনএক্স এর সমীক্ষা অনুযায়ী,


পশ্চিমবঙ্গে কোন দলের কত আসন?


বিজেপি- ২৩
তৃণমূল- ১৯ 


আরও পড়ুন, লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড আসনে জয় বিজেপির? কত আসন পেতে পারে কংগ্রেস? কী বলছে সমীক্ষা?


দল হিসেবে বিজেপি এবং কংগ্রেস কত আসন পেতে পারে, তা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই। তারও আভাস পাওয়ার চেষ্টা করেছেন সমীক্ষকরা। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, এবারের লোকসভা ভোটে  বিজেপি একাই পেতে পারে ৩২৩টি আসন। অর্থাৎ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের তুলনায় ২০টি বেশি। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৬৫টি আসন। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় ১৩টি বেশি। সমীক্ষা অনুযায়ী,  বিজেপি ৪০ শতাংশ এবং কংগ্রেস ১৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। 


অন্যদিকে, পিপলস ইনসাইট, পোলস্ট্র্যাটের সমীক্ষা অনুযায়ী, 


কোন দল কত আসন পেতে পারে


মোট আসন ৫৪৩, ম্যাজিক ফিগার- ২৭২


এনডিএ - ৩৬২
ইন্ডিয়া জোট- ১৪৯
অন্যান্য- ৩২



সিএনএক্স এর সমীক্ষা অনুযায়ী,


কোন দল কত আসন পেতে পারে?


এনডিএ- ৩৯৩
ইন্ডিয়া- ৯৯ 
অন্যান্য- ৫১


ডিসক্লেমার: এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও কোনও জায়গাই নেই এখানে। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরি মাত্র। কুড়ি বছর ধরে এই সমীক্ষা হয়ে আসছে। বহুবার মিলেছে, বহুবার মেলেনি। সমীক্ষা কখনও একশোয় একশো পেয়েছে, কখনও শূন্য পেয়েছে। কারণ সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী নয়। কে জিতবে, কে হারবে, তা বোঝা যাবে ৪ জুনই, ফলপ্রকাশের পর।