রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ভোটে হিংসার ছবির সামনেই একেবারে অন্যরকম ছবি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguriu Lok Sabha Election)। বিয়ের পোশাকেই ভোটকেন্দ্রে দেখা গেল নবদম্পতিকে। বাসি বিয়ের নিয়ম কানুন ফেলে কনেকে নিয়ে বর পৌঁছে গেলেন বুথে। কনের বুথ ছিল অন্যত্র। তাই বর ভোট দেওয়ার পরে সেই বুথে গেলেন কনেও। সেখানে গিয়ে তিনি ভোট দিলেন। বিয়ের আসর থেকে সটান বুথে পৌঁছে ভোট দিলেন পাত্র শুভঙ্কর ইন্দ্র। এরপরই তাঁকে নিয়ে সেনপাড়া সন্দীপন প্রাইমারি বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোট দেন কনে সুতপা রায়। 


বুথের সামনে এসে দাঁড়াল ফুল-মালায় সাজানো গাড়ি। সেখান থেকে বিয়ের সাজে নেমে এলেন বর-কনে। বরের পরনে ধুতি আর পাঞ্জাবি। আর কনের পরনে নান বেনারসি। হেঁটে এসে তাঁরা ঢুকে গেলেন ভোটকেন্দ্রে। সকাল সকাল বুথে নবদম্পতিকে দেখে খানিকটা অবাক জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা হাইসকুলের বুথে থাকা আধিকারিকরা  (Lok Sabha Election 2024)। 


বৃহস্পতিবারই সাত পাকে বাঁধা পড়েন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা শুভঙ্কর ইন্দ্র ও সুতপা রায়। শুক্রবার ছিল বাসি বিয়ে। সেটাও সম্পন্ন হয়েছে ঠিকমতোই। তারপরেই সোজা ভোটকেন্দ্রে। বর শুভঙ্কর ইন্দ্র বলেন, 'আমার সবসময় মনে হয় যে ভোট দেওয়াটা গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কোনও পরিস্থিতিতে ভোটটা যাতে দেওয়া যায় সেটা চেষ্টা করা যায়। যাই হোক ভোটটা দিতে পারলাম। আমি খুব খুশি।' কনে সুতপা রায় বলেন, 'শ্বশুরবাড়িতে তো সন্ধেবেলা যাব। তার আগে তো সময় আছে। ভোট তো ৬টা পর্যন্ত। তাই ভোট দিতে আসা। ভোট তো দিতেই হবে।' বিয়ের পোশাক পরেই ভোট দিতে এলেন কেন? কনের কথায়, 'চেঞ্জ করার সময় নেই। আমি আমার ওখানে যাব। আমার ভোট অন্য জায়গায়। আমি সেখানে যাব। এখানে আমার বর দিচ্ছে।'  সবে মাত্র সম্পন্ন হয়েছিল বাসি বিয়ে। তাই বলে কি নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা যায়? 


বিয়ের কার্ডে পছন্দের দলকে ভোট দিতে বলা কিংবা বিয়ে উপলক্ষে পছন্দের রাজনৈতিক দলের প্রচারের নানা ছবি সারা দেশে প্রায়শই দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিয়ে সেরে সরাসরি ভোটের বুথে পৌঁছনো বাংলার ভোট-মানচিত্রে সাম্প্রতিককালে হয়েছে কিনা মনে করতে পারছেন না কেউই।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: ভোটের আগে ছবি পোস্ট হতেই ভাইরাল! কে ইনি?