কলকাতা: লোকসভা ভোটে বাংলায় অন্যতম বড় ইস্যু সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই একের পর এক ইস্যু প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে মোদি-শাহর প্রায় প্রতিটি সভায় এই সন্দেশখালি ইস্যু উঠে এসেছে। শেখ শাহজাহান-জমি দখল-নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে ভাইরাল ভিডিও সব মিলিয়ে চাপের মুখে শাসকদল (TMC)। বলাইবাহুল্য তাই লোকসভা ভোটে ফোকাসে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র। বসিরহাটে নির্বাচন পয়লা জুন। ঠিক এমনই এদিন সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ফের বিজেপি নিশানা মমতার (Mamata Banerjee)। 


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সন্দেশখালিতে যেভাবে মা-বোনদের অপমান করা হয়েছে, আমি মর্মাহত। অসম্মানের খেলা আর কেউ যাতে না খেলে সেটা মাথায় রাখতে হবে। ভিডিও বাইরে না আসলে কেউ বুঝতেই পারত না বিজেপি কীভাবে চক্রান্ত করেছিল। এরকম ঘটনা যে কোনও জায়গায় ঘটতেই পারে, সতর্ক থাকবেন। ভোটের আগে বিজেপির প্ল্যান এ, সন্দেশখালি বাতিল হয়ে গেছে। সন্দেশখালির প্ল্যান মা-বোনেরাই বাতিল করে দিয়েছে। বিজেপির প্ল্যান বি: হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা।' 


 বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত সন্দেশখালি। সেই বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে সভা থেকে ফের সন্দেশখালিকাণ্ডে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে,বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি প্রথমেই বলব, সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য় আমি নিজে, যা ঘটেছে এবং যে ভাবে আমার মা-বোনেদের অসম্মান করা হয়েছে, আমি তার জন্য় আমি আমার হৃদয়ের হৃদয়স্থল থেকে আমি মর্মাহত। আমি দুঃখিত, মা-বোনেদের নিয়ে অসম্মানের খেলা আর কেউ যেন না খেলে। এটা মাথায় রাখতে হবে, এই জিনিসগুলো বাইরে না আসলে, মানুষ বুঝতেই পারত না আসলে বিজেপি চক্রান্তটা কীভাবে করেছিল। আরও যেকোনও জায়গায় করতে পারে।'


 লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। চাষের জমি জোর করে দখল করে ভেড়ি তৈরির অভিযোগ ঘিরে আন্দোলন শুরু করেন সন্দেশখালির বাসিন্দাদের একাংশ।পরিস্থিতি এমন হয় যে, সন্দেশখালিতে আসতে হয় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে।গ্রামে ক্যাম্প করে একের পর এক অভিযোগ নথিবদ্ধ করে পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটে, এদিন বসিরহাটের সভা থেকে ভেড়ি নিয়ে পলিসি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলায় বড় পদক্ষেপ আদালতের, তলবের মুখে আরও ৪


মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,'আপনাদের এখানে কত মাছের ভেড়ি আছে। অনেক ভেড়ি আছে অনেকে দখল করে। আবার ছোট ছোট ভেড়ি আছে গরিব মানুষের, তারা করে খায়। সুতরাং, এতদিন পর্যন্ত, স্বাধীনতার ১৯৪৭ সাল থেকে কেউ কোনও পলিসি করেনি। আমাদের সরকার একটা পলিসি তৈরি আমরা ভেরি নিয়ে তৈরি করছি। যাতে, যার ভেরি, সে চাষ করুক। তা না হলে, সেল্ফ হেল্প গ্রুপ বা যারা গ্রুপওয়াইজ করবে, তারা করবে, কিন্তু সরকারের রেকর্ডে নাম রাখতে হবে। কারওটা জোর করে কেড়ে নেওয়া যাবে না। আর তৃতীয়ত হচ্ছে, সরকারকেও তার জন্য় একটা রেভিনিউ দিতে হবে। তাহলে জমিটা, তার অধিকারটা প্রটেক্ট থাকবে।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।