কলকাতা: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (TMC Candidate List) প্রকাশ্যে আসতেই তোপ দাগলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ইতিমধ্যেই শাসকদলের প্রার্থী তালিকায় 'বাঙালি' ও 'বহিরাগত' ইস্যুতে ইতিমধ্য়েই ইউসুফ ও কীর্তি আজাদকে প্রশ্নের কাঠগোড়ায় তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কটাক্ষ করে বললেন,'ব্র্যান্ডেড বাঙালি।'


' তৃণমূলের কাছে কোনও রাজনৈতিক কর্মী নেই'


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,' তৃণমূলের কাছে কোনও রাজনৈতিক কর্মী নেই। কিছু চ্যাংড়া ছেলে আছেন। কিছু দেব-দেবী আছেন।আর কিছু বাইরের থেকে এক্সপোর্ট করা হচ্ছে। তাঁরা নাকি খুব ভাল বাঙালি। তাঁর মধ্যে বড় বাঙালি হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিন্হা, ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ। আর আমরা বাঙালি নই।' পাশাপাশি এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যখন তৃণমূল কংগ্রেসের তালিকা বেরিয়েছে, তার একটু আগেই ভাগ্নে (নাম না করেই) বড়বড় কথা বলছিলেন। বিজেপি হল অ্যান্টি বেঙ্গলি। এদিকে যখন ক্যান্ডিডেট তালিকা সামনে এসেছে, তখন দেখা গেল বাইরে থেকে প্রার্থী এনেছে শাসকদল। কীর্তি আজাদ, ইউসুফ পাঠান এরা কি বাঙালি ? ইউসুফ পাঠান ও মোদি দুজনেই গুজরাতের। মোদি বহিরাগত যখন বলা হয়, তাহলে এদের ক্ষেত্রে কী করে সেই তকমা প্রযোজ্য নয়,  এবার গুজরাটি মুসলিমকে নিয়ে আসলেন, কোনও বাঙালি মিলল না এবার ? এটা লজ্জার, অ্যান্টি বেঙ্গলি পার্টি আসলে তৃণমূল কংগ্রেস, দাবি জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।


আরও পড়ুন, 'সন্দেশখালিতে আসার প্রয়োজন অনুভব করেননি..', মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা শুভেন্দুর


'বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান গুজরাতের লোক , না বাংলার?'


এনিয়ে নিশানা করেছেন অমিত মালব্য। 'বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান গুজরাতের লোক , না বাংলার?' তৃণমূলের তালিক তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায বহিরাগত-তে বোঝাই। ওঁর এই বিভাজনের নীতিতে ধিক্কার জানাই, এর জন্যেই পশ্চিমবাংলা পিছিয়ে থাকে', সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট অমিত মালব্যর।অপরদিকে, অধীর চৌধুরী বলেন, 'অনেক ভাল হত, যদি ইউসুফ পাঠানকে যথাযথ সম্মান দেওয়া যেত। কিছুদিন আগে বাংলায় রাজ্যসভার ভোট হয়েছিল। বহিরাগতদের রাজ্যসভায় আসন (এমপি) করে দেওয়া হয়েছে। যদি ইউসুফ পাঠানকে সম্মানিতই করতে হবে, তাহলে ওনাকে রাজ্যসভার সদস্যপদ দিত তৃণমূল। ইসসুফকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ভাল চিন্তাভাবনা নেই বলেই দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। তোলেন গুজরাতে 'গাটবন্ধন' প্রসঙ্গও। ইউসুফকে রাজ্যে পাঠানোর কারণ হিসেবে ক্ষোভ উগরে বলেন, 'যাতে বিজেপির সাহায্য পাওয়া যায়, আর কংগ্রেস যাতে হারে।'