নন্দীগ্রাম : বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (BJP Leader Suvendu Adhikari) যখন পুলিশের বিরুদ্ধ একের পর এক অভিযোগ করছেন, তখন এরই মধ্য়ে দেখা গেল তৃণমূল নেতা দেবব্রত রায় ওরফে দেবুকে। বিজেপি কর্মী খুনে অভিযোগপত্রে দু'নম্বরেই নাম রয়েছে তাঁর। তাঁকেই কি না দেখা গেল পুলিশ ফাঁড়িতে। সন্ধেবেলা তেখালি বাজারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গেও দেখা যায় দেবব্রত রায় ওরফে দেবু রায়কে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার দাবি, ফালতু অভিযোগ দিচ্ছে। Lok Sabha Election 2024
নন্দীগ্রাম যেন 'রাজনীতির বদলাপুর।' অভিযোগ, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ বিজেপির এসসি মোর্চার অঞ্চল সম্পাদক সঞ্জয় আড়িকে বাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে, ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজেপি নেতার মায়ের ওপরও চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। কুপিয়ে, মাথায় রড দিয়ে মেরে খুন করা হয় বিজেপি নেতার মাকে। ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের মেয়ে বলেন, 'আমার মাকে ওরা মেরে দিয়েছে। আমার মাকে মেরে দিল। ওই টিএমসির লোকেরা আমার মাকে মেরে দিল। আমার দাদাকেও মারল। আমার দাদা বাঁচবে নাকি ঠিক নেই।'
শনিবার ভোট। তার আগে নন্দীগ্রামে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হল মহিলা বিজেপি কর্মীকে। তাঁর ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আহত ওই যুবক বিজেপির SC মোর্চার সম্পাদক। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতারা এলাকায় গেলে গো ব্য়াক স্লোগান দেয় বিজেপি। এদিকে এই ঘটনার জন্য সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিহতের পরিবারের দেওয়া অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে,২২ মে তারিখ, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের শায়েস্তা করার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু,কী বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ? অভিষেক সভামঞ্চে বলেছিলেন, 'বিজেপি যদি একদিন-দু'দিন আগে থেকে বাড়িতে গিয়ে ধমকায়-চমকায়, মায়েরা হাতে খুন্তি আর বঁটি নিয়ে তাড়া করবেন এদের। এখানে যারা ভাবছে যে ৮০ টা বুথে সন্ত্রাস করব, মানুষকে ভোট দিতে দেব না, আর প্রত্যেকটা বুথে ৭০০-৮০০ ভোট নিয়ে ৫০ হাজার ভোট বাড়িয়ে নেব। যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, তাদের তালিকা আমার কাছে রয়েছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।