নয়াদিল্লি : তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সদা সরব। যদিও বিরোধীরা, তাঁর বিরুদ্ধেই ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যুতে 'দুর্নীতি'র অভিযোগে সরব হয়েছেন। কার কথায় 'জনতা জনার্দন' আস্থা রাখছে তা জানা যাবে ৪ জুন। ভোট গণনার দিন। কিন্তু, বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'খড়গহস্ত' প্রধানমন্ত্রীর বিষয়-আশয় কত ? তা নিয়ে দেশবাসীর কৌতূহল থাকবেই। আর তা জানার সেরা উপায় অবশ্যই নির্বাচনী হলফনামা। আজ বারাণসী কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পত্তির পরিমাণ-সহ বিভিন্ন তথ্য। একনজরে দেখে নেওয়া যাক হলফনামায় কী কী তথ্য জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ-
হাতে নগদ টাকার পরিমাণ - ৫২ হাজার ৯২০ টাকা।
সঞ্চিত টাকার পরিমাণ-
১. গুজরাতের গান্ধীনগরে SBI-এর NSC শাখায় রয়েছে- ৭৩ হাজার ৩০৪ টাকা।
২. উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে SBI-এর শিবাজী নগর শাখায় জমা রয়েছে- ৭ হাজার টাকা।
৩. SBI-এ ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে- ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৩৮ টাকার।
৪. National Savings Certificate রয়েছে- ৯ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯৮ টাকার।
৫. ৪টি সোনার আংটি রয়েছে। যার ওজন ৪৫ গ্রাম। আর্থিক মূল্য ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫০ টাকা।
২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে আয়কর (TDS) দানের পরিমাণ- ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৭৯ টাকা (SBI ব্যাঙ্কে+PM0)
মোট সম্পদ- ৩ কোটি ২ লক্ষ ৬ হাজার ৮৮৯ টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ-
১.প্রধানমন্ত্রীর নামে নেই কোনও কৃষিজমি।
২. অকৃষিজ জমিও নেই।
৩. নেই কোনও কমার্সিয়াল বিল্ডিং
৪. প্রধানমন্ত্রীর নামে নেই কোনও রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংও।
অন্যান্য-
১. কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর নামে কোনও ঋণ নেই বা বকেয়া নেই।
২. এমনকী কোনও ব্যক্তিও তাঁর কাছে কোনও টাকা পান না।
পেশা- রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনজীবন
স্ত্রীর পেশা - জানা নেই
আয়ের উৎস- PMO থেকে পাওয়া বেতন
স্ত্রীর আয়ের উৎস - জানা নেই
স্ত্রীর নাম- যশোদাবেন
শিক্ষাগত যোগ্যতা-
১. ১৯৬৭ সালে গুজরাত থেকে SSC বোর্ড উত্তীর্ণ
২. বিএ পাস- দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৮)
৩. এমএ পাস - গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় (আমদাবাদ, ১৯৮৩)
গত সন্ধেতেই ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোড শো করেছেন। এরপর আজ জে পি নাড্ডা, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে গঙ্গার তীরে অবস্থিত দশাশ্বমেধ ঘাটে প্রার্থনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরে প্রধানমন্ত্রী কালভৈরব মন্দির যান। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এদিন তিনি বেশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। বলেন, "আমি খুব আবেগপ্রবণ এবং অভিভূত হয়ে পড়েছি। আপনাদের স্নেহে কীভাবে ১০ বছর পার করে ফেললাম বুঝতেও পারছি না।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।