বিটন চক্রবর্তী, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সুদীপ্ত আচার্য, নন্দীগ্রাম ও মহিষাদল : নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আর মহিষাদলে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার ২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথমে আটক ও তারপর বেলা গড়াতেই পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দুই ক্ষেত্রে পুলিশের দুই ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ক্ষোভে ফুঁসছে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার। নন্দীগ্রামে যখন এই ছবি, তখন শুক্রবার রাতে এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত মহিষাদলে খুন হন এক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনার ২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথমে আটক ও তারপর বেলা গড়াতেই এক মহিলা-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা প্রত্যেকেই এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত।

এই প্রেক্ষাপটেই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, 'ওরা করবে নো গ্রেফতার, করবে না। আমরা কোর্ট যাব। সবকটা বুঝতে পারবে।' এদিকে ধৃতদের অভিযোগ, বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। ধৃতদের মধ্য়ে রয়েছেন বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪২ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতিও।

নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনে গ্রেফতার শূন্য। মহিষাদলে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৫। এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের ক্ষেত্রে পুলিশ নিষ্ক্রিয়, বিজেপির ক্ষেত্রে সক্রিয় ? শুভেন্দুর বক্তব্য, 'হ্য়াঁ গ্রেফতার এরা করবে না। রথীবালা আড়ির পরিবার হাইকোর্টে যাবে। CBI হবে। তখন গ্রেফতার হবে। পুলিশ তো মমতার পুলিশ। ভাইপোর যে কয়লা, বালি চুরির টাকা। সেখান থেকে এরা বেতন পায়। এদের পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। এদের পরিণতি খুব খারাপ হবে। আমরা চিহ্নিত করে রাখছি। আর বেশিদিন লাগবে না। কয়েক মাস লাগবে।'

এপ্রসঙ্গে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সলিল ভট্টাচার্য বলছেন, 'রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। পুলিশ চাইলেই পারে। নন্দীগ্রামের ঘটনায় এত কিছু হল। একজন গ্রেফতার হবে না। এর জন্য প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। শাসকের বাধায় আটকে যাচ্ছে।'

যদিও মহিষাদলে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জানার চেষ্টা করা হবে।


মহিষাদলে ধৃত ৫ জনের মধ্যে ২ জনের ১৪দিনের জেল হেফাজত, বাকি ৩ জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হলদিয়া মহকুমা আদালত।