কোয়েম্বত্তুর (তামিলনাড়ু) : লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচার চলছে জোরদার । প্রচারের ধকলে কার্যত ওলট-পালট হয়ে গেছে দৈনন্দিন রুটিন। তবে, এবার একটু ব্রেক নিতে দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। প্রচারপর্ব সেরে শুক্রবার রাতে তিনি ঢুঁ মারলেন তামিলনাড়ুর সিঙ্গানাল্লুরের একটি মিষ্টি দোকানে। রাহুলকে হঠাৎ দেখে কার্যত হকচকিয়ে যান দোকানের মালিক বাবু।


 






সংবাদ সংস্থা ANI-কে তিনি বলেন, "রাহুলকে গান্ধী দোকানে দেখে আমরা যেমন অবাক হয়েছি, তেমনই আনন্দিত। উনি জামুন (গুলাব) পছন্দ করেন। এক কেজি মিষ্টি নিয়েছেন। অন্যান্য মিষ্টিও দেখেছেন। আমি খুব খুশি যে উনি এসেছেন। আমাদের কর্মীরাও ওঁকে দেখে খুশি। উনি এখানে ২৫-৩০ মিনিট ছিলেন। আমরা জানতাম না যে উনি এখানে থামবেন। তাই খুব অবাক হয়ে গেছিলাম। আমরা টাকা নিতে চাইনি, কিন্তু উনি জোর করে দেন। উনি সব টাকা দিয়ে গেছেন।"  


এর আগে সভা থেকে নির্বাচনী বন্ড প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, "বিশ্বে কারো দ্বারা ঘটা সবথেকে বড় দুর্নীতি।" কোয়েম্বত্তুরে একটি জনসভায় রাহুল বলেন, "নির্বাচনী বন্ড সবথেকে বড় দুর্নীতি। বিজেপি একটা ওয়াশিং মেশিন চালাচ্ছে। উনি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) বলেছেন যে আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিষ্কার করবেন। উনি বলেছেন যে নতুন স্কিম আনবেন। নির্বাচনী বন্ড স্কিম। যাতে কেউ যদি দলের তহবিলে টাকা দেন, তাহলে তাঁর নাম অপ্রকাশিত থাকবে। তাতে তিনি যত টাকাই দান করুন কেউ তাঁর নাম জানতে পারবে না।"


কংগ্রেস সাংসদ স্মরণ করিয়ে দেন, "সুপ্রিম কোর্ট এই স্কিমকে বেআইনি বলেছে এবং দাতাদের নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে।" রাহুলের অভিযোগ, যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি ও আয়কর বিভাগ, তারা বিজেপিকে প্রচুর টাকা দিয়েছে । তারপরেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ হয়ে গেছে। এটা তোলাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। এছাড়া বিজেপি সেই সব ব্যবসায়ীকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছে যারা তাঁদের দলে টাকা ঢেলেছেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।