অরিত্রিক ভট্টাচার্য, সৌমেন চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ দাস: কেন্দ্র টাকা না দিলে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান (Ghatal Masterplan) তৈরি করবে রাজ্য সরকার। দেবের সমর্থনে ঘাটালে প্রচারে গিয়ে এমনটাই আশ্বাস দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রোড শো থেকে অভিষেক জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে এই কথাই বলছেন। পাল্টা তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। জমি অধিগ্রহণ না হওয়াতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ হয়নি বলে পাল্টা দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


বছরের পর বছর নয়, অর্ধ শতক ধরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ঘিরে আবর্তিত হয়েছে জেলার রাজনীতি। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। মাসদুয়েক আগে, এই মাস্টার প্ল্যানকে কেন্দ্র করেই ঘাটালের ভোট রাজনীতির সমীকরণ ঘুরে যেতে পারে বলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। যার শুরুটা করেছিলেন এখানকার শেষ ২ বারের তৃণমূল সাংসদ দেব। ভোটের আগে এমন জল্পনা শুরু হয়েছিল যে এবার আর ভোটে দাঁড়াবেন না দেব। যদিও তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পরে ভোটে দাঁড়াতে রাজি হন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, মমতা-অভিষেক ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই আশ্বাসের কারণেই ফের তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। রবিবার ঘাটালে তাঁর হয়েই রোড শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিন দেবের হয়ে অভিষেকের প্রচারে ফের উঠে এল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গ। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করি। ফোন করে বলি, দেব যে কথাটা বলছে অত্যন্ত ন্যায়সম্মত। বাস্তববাদী। আমরা যদি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান না করি, তাহলে আগামী ১০০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আপনি তীর্থের কাকের মতো চেয়ে বসে থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দেবকে বল, যদি ১ মাসের মধ্যে কেন্দ্র ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা না ছাড়ে, এই বছরের ৩১ শে ডিসেম্বরের আগে আমার সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবে।'


এই নিয়েই তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, '৫০% কেন্দ্র দেয়, ৫০ শতাংশ রাজ্য দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যেবাদী। জমি অধিগ্রহণ এতদিন করেনি বলে, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এতদিন কার্যকর হয়নি। ১০ বছর এই মিথ্যুক সাংসদকে লোক দেখেছে। আজকে এই মিথ্যুক সাংসদ নিজের অকর্মন্যতা ঢাকার জন্য কখনও পিসি, কখনও ভাইপো।'


দেবের হয়ে ভোটপ্রচারের এসে, ঘাটাল থেকে এদিন সরকারি প্রকল্পের বাড়ি নিয়েও বড় ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'যেখান থেকে বাংলার এই লড়াইয়ে আপনারা বাংলার হাত শক্তিশালী করবেন, সেই বিধানসভা হোক, পঞ্চায়েত হোক, যাঁরা বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন, ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ইনস্টলমেন্টের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। বাংলার সরকার দেবে।' তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর তোপ, 'ডিসেম্বর থেকে টাকা দেবে কেন? কোন ডিসেম্বর? মানে ভোট টা হওয়ার পরে। হবে না। ভোট কেউ দেবে না। আর আপনাকে আর ধার করতে হবে না দয়া করে।'


আরও একটা ভোট। ভোটের প্রচারে আবার ইস্যু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। আর তা নিয়ে দ্বৈরথ ২ নেতার। 








আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।








 আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে ঢালাও উন্নয়নের আশ্বাস! কীভাবে? ধূপগুড়িতে বললেন মোদি